সৈয়দপুরে দুদিন থেকে হঠাৎ বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। সাথে হিমেল হাওয়া, এতে করে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কুয়াশার চাদরে ঢাকা আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে শীতের তীব্রতা ও কমছে না। অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার রাত থেকে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। ভোর থেকে দুপুরের প্রকৃতির অবস্থা একই থাকায় সূর্যের দেখা মেলা ভার। শিশির বৃষ্টি আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছেন সৈয়দপুরের মানুষজন।
শহরের বাংগালীপুর নীজ পাড়ার বাসিন্দা আল কবির বলেন, গত বুধবার থেকে দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা ও শীত। দুপুর ১২টায় ও ঘন কুয়াশার কারণে ১০ ফুট সামনে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। একদিকে প্রচন্ড শীত, অন্য দিকে পৌরসভার পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র মিলছে না।কাবু হয়ে পড়েছেন অসহায় ও ছিন্ন মুলের মানুষজন।
প্রাইভেট চালক আব্দুল মুত্তালেব বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।
রিকশাচালক বাবলু শেখ বলেন, ঠান্ডার কারণে এখন মানুষজন রিকশায় উঠতে চায় না। বাড়িতে ৬ সদস্যদের সংসার। ঠান্ডার কারনে আয়-রোজগার একেবারেই কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, কুয়াশার কারনে ১০ টা ৪৫ মিনিটে অবতরণ করার বিমান বেলা ১ টার পর অবতরণ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আর শিশিরের কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কুয়াশা কেটে গেলেই বিমান চলাচলে বাধা থাকবে না।
সৈয়দপুর পৌর প্রশাসক নুর- আলম সিদ্দিক বলেন, শীত বেশি হওয়ায় আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছি। তবে প্রয়োজনীয় মানুষের তুলনায় শীত বস্ত্র কম থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্বেও অনেককেই তা দিতে পারছি না। তাই সমাজের বিত্তবানদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আশার আহ্বান জানাই।
সাজিদ