বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে শুক্রবার বিকেল বা সন্ধ্যার পর থেকে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি বেশি হতে পারে শনিবার।
রবিবারও হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও। বৃষ্টি ও আকাশ মেঘলা থাকলে কমবে দিনের তাপমাত্রাতেও। এতে দিনের বেলায় শীতের অনুভূতিও অনেকটা বাড়তে পারে। তবে শীতের আসল রূপ দেখা যেতে পারে বৃষ্টির পর। বৃষ্টির পর জলীয় বাষ্প ও মেঘ কেটে গিয়ে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ২৪ ডিসেম্বরের পর আবার রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাই শীতের তীব্রতাও বাড়বে। দেশের কিছু কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে এ সময়। এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শুক্রবার শেষ বিকেল বা সন্ধ্যার পর দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। তবে প্রথমে আমরা যেমনটা ভেবেছিলাম বৃষ্টি ততটা বেশি নাও হতে পারে। মূলত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগেই বৃষ্টি কিছুটা বেশি হতে পারে। এসব অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য অঞ্চলে সামান্য বা ছিঁটেফোঁটা হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টি মূলত বেশি হতে পারে শনিবার। রবিবারও বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি কতদিন থাকবে এটা মূলত নির্ভর করবে পরিমাণের ওপর। শনি ও রবিবার বৃষ্টি বেশি হয়ে পুরোপুরি মেঘ কেটে গেলে এরপর আর বৃষ্টি হবে না। তবে মেঘ পুরোপুরি না কাটলে ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বরও (সোম ও মঙ্গলবার) হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও।’
আগামী কিছুদিনের তাপমাত্রা ও শীত সম্পর্কে জানতে চাইলে বজলুর রশিদ বলেন, ‘বৃষ্টির সময় দিনের তাপমাত্রা কমে যাবে আকাশে মেঘ থাকার কারণে। ফলে দিনে শীতের অনুভূতি বাড়বে। তবে রাতের তাপমাত্রা তেমন কমবে না। বৃষ্টির পর জলীয় বাষ্প ও মেঘ পুরোপুরি কেটে গিয়ে ২৪ ডিসেম্বরের পর আবার তাপমাত্রা কমতে পারে। দেশের কিছু কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে তখন।’
শহীদ