শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত।
আজ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এ নিয়ে গত ১২ ও ১৪ ডিসেম্বর দু’দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হল এ জেলায়। এদিন সকাল ৯ টার সময় চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার তাদের নিয়মিত আবহাওয়া পর্যবক্ষনে এ তথ্য জানিয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। তবে আজ কুয়াশা কম রয়েছে।
এদিন সকাল ৬ টার সময় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ২ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমাগত বাড়ছে। গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমে গেছে। এর আগে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার চলতি শীত মৌসুমে প্রথমবারের মত এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
গত ১৯ নভেম্বর হতে এ জেলায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা আরো কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি জানান,চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে শীত ও কুয়াশা কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। আসছে সপ্তাহ থেকে শীতের প্রকোপ আরো বেশী হবে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ। এর আগে এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। গত ২৬ দিন থেকে এ জেলায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় সূর্যের দেখা মিলছেনা। প্রত্যকদিন রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে হাঁড় কাঁপানো শীত অনূভূত হচ্ছে। ফলে জনজীবনে দূর্ভোগ বাড়ছে।
নুসরাত