ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় কমছে তাপমাত্রার পারদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা।

প্রকাশিত: ১৬:২১, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় কমছে তাপমাত্রার পারদ

 আজ ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড 

শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। কনকনে বাতাসে কাবু সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে আছে পুরো জনপদ। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়া। এটিও ছিল চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতর। 

শীতের তীব্রতা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদের বলেন, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসলে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। 

চুয়াডাঙ্গা শহরের পথচারী আলী হোসেন, আলাউদ্দিন ও আমির আলী জানান, রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছে। আজও ভোরে কুয়াশা ছিল। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসার মতো অবস্থা। রাতে এখন ডাবল কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে পৌষ মাসের ঠান্ডা শুরু হয়েছে। এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। 

জেলার ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল ও  অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

এছাড়াও এ জেলায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছে। আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছে চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। একদিকে আলু, রসুন ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষক।

কৃষি শ্রমিক মিনাজ উদ্দীন বলেন, কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে ফসলের মাঠে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। তবুও কাজ করতে হচ্ছে, নাহলে সংসার চলবে কীভাবে?

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, রবিবার সকাল ৯টায় এ জেলায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। একই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭২ শতাংশ। এর আগে সকাল ৬ টায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। যা চলতি শীত মৌসুমে এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তিনি বলেন, শীত পড়লেও সকালে সূর্য উঠছে। তাই বেলা বাড়ার সাথে শীতের তীব্রতা কমছে। মধ্য ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা আরও কমে ১০ এর নীচে নামতে পারে।

তিনি আরও জানান, সাধারণত তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেই পরিস্থিতিকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
 

জাফরান

×