ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ যখন যেখানে আঘাত হানবে

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ যখন যেখানে আঘাত হানবে

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন।

উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থলটি মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এর অগ্রভাগ আজ সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ৮টার মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। 

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ ১১ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন >>  ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেও সমুদ্রে পর্যটকদের আনন্দ উল্লাস

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ প্রথমে ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনায় আঘাত হানতে পারে। পরে বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিতে এর প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমুহকে ৭ নম্বর, কক্সবাজার সমুদ্রে ৬ নম্বর ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে জানায় আবহাওয়া অফিস। 

দুপুর ১২টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুন্দ্রবন্দর থেকে ২১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আরও পড়ুন >>  বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ 

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষরাত থেকে সকালের মধ্যে মেঘনার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ও এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এ ছাড়া, পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এম হাসান

সম্পর্কিত বিষয়:

×