ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকার গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় রূপ নিয়ে ক্রমশ স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। শুক্রবার সকাল নাগাদ এটির স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং কোথাও কোথাও বৃষ্টিও দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, সুন্দরবন, পাবনা, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনসহ উপকূলীয় এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল এবং টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক জায়গায় সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। বিকেল থেকে ঝড়ো হওয়া শুরু হয়। উপকূলীয় জেলা খুলনা, বরগুনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ভোলা, ঝালকাঠির ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এর প্রভাবে দেশের সব সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এটি অতিপ্রবল না হলেও প্রবল ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এটি ১৫০ কিলোমিটার (কিমি) অর্থাৎ আইলার বেগে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে তীব্র প্রভাব পড়তে পারে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে। অনেকের মতে, এটি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং ফণীর মতো শক্তিশালী।
আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় দানার অগ্রভাগ ভারতের উপকূল দিয়ে অতিক্রম করার আশঙ্কা থাকায় বাংলাদেশে এর প্রভাব কিছুটা কম থাকতে পারে। তবে আঘাত হানলে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলের ওপর দিয়ে সেটা যেতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, এটি আসলে নির্ভর করে ঘূর্ণিঝড়টি কোনদিকে যাবে।