
শিরোপা নিয়ে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলারদের বাঁধভাঙা উল্লাস, মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের ফাইনাল ম্যাচ। একদিন ১০৫ মিনিট এবং অন্যদিন ১৫ মিনিটের খেলা দেখলেন দর্শকরা। আট দিনের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপের ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টাইব্রেকারে জিতে শিরোপা অক্ষণœ রেখেছে দশজনের বসুন্ধরা কিংস।
১৪ হলুদ কার্ড ও এক লাল কার্ডের দীর্ঘতম নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ১-১ গোলে ড্র ছিল। শেষে টাইব্রেকারে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে দেয় কিংস।
পাশাপাশি ফেডারেশন কাপের কোয়ালিফায়ারে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারার একটা মধুর প্রতিশোধও নিল। কাকতালীয়ভাবে সেই ম্যাচে আবাহনী দশজন নিয়ে খেলে ম্যাচ জিতেছিল। মঙ্গলবারের ম্যাচে কিংসও জিতেছে দশজন নিয়ে!
টাইব্রেকারেও ছিল নাটকীয়তা। কিংস পাঁচ শটেই গোল করে। জোনাথন ফার্নান্দেজ, শেখ মোরসালিন, তপু বর্মণ, ইনসান হোসেন ও ড্যাসিয়েল প্রত্যেকেই লক্ষ্যভেদ করেন। পক্ষান্তরে আবাহনীর প্রথম শটে গোল করেন রাফায়েল অগাস্তো। এমেকার নেওয়া দ্বিতীয় শট আটকে দেন কিংস গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। সেই শট আটকে তিনি আর্জেন্টাইন বিশ্বসেরা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের মতো নেচে উদ্যাপন করেন।
আবাহনীর তৃতীয় শটে সবুজ হোসেন গোল করেন। মিরাজুল ইসলামের নেওয়া চতুর্থ শট গোল শ্রাবণ ফিরিয়ে দেন। রেফারি অবশ্য আগেই ফাউলের পতাকা তুলেছিলেন। রেফারির এই সিদ্ধান্ত কিংসের গোলকিপার কোচ নুরুজ্জামান নয়ন মানতে পারেননি। রেফারি সায়মন সানি টাইব্রেকার পর্বে এসেও হলুদ কার্ড দেখান কিংসের এই গোলকিপার কোচকে। মিরাজুল পুনরায় শট নেন। সেই শট অবশ্য শ্রাবণ ঠেকাতে পারেননি। কিংসের হয়ে পঞ্চম ও শেষ শট নিতে আসেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল। তার নেয়া শট জালে প্রবেশ করলে কিংস পুনরায় উল্লাস করে।
আবাহনীর এটা ছিল ২১তম ফাইনাল। এ নিয়ে তারা ফাইনালে হারল নবমবারের মতো। পক্ষান্তরে কিংসের এটা ছিল পঞ্চম ফাইনাল এবং চতুর্থ শিরোপা। এ পর্যন্ত ফেডারেশন কাপে যে সাতটি দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাদের মধ্যে শিরোপা সংখ্যার বিচারে কিংস উঠে এসেছে চার নম্বরে।
তাদের পরে আছে মুক্তিযোদ্ধা, ব্রাদার্স ও শেখ জামাল ধানমন্ডি (৩ শিরোপা) এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র (১)। ১২ শিরোপা নিয়ে আবাহনী শীর্ষে। ১১ শিরোপা নিয়ে তার পরের স্থানটি মোহামেডানের।