ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে দিল বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:০১, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে দিল বিসিবি

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এফডিআরের বিপুল অঙ্কের অর্থ অন্য ব্যাংকে সরিয়ে নেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল কদিন ধরে। গুঞ্জন ওঠে, বোর্ড পরিচালকদের অজ্ঞাতে অন্তত ১২০ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। এসব অভিযোগকে ‘ভুল তথ্যভিত্তিক ও পরিকল্পিত চক্রান্ত’ বলে দাবি করে শনিবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে বিসিবি।

দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, বোর্ডের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই টাকা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে তুলে অন্য ব্যাংকে পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিসিবি মনে করছে, বোর্ড ও বোর্ড সভাপতির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতেই সামাজিক মাধ্যমে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল। গণমাধ্যমে পাঠানো আর্থিক লেনদেন-সম্পর্কিত বিসিবির বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
‘বোর্ড সভাপতি কোনো একক সিদ্ধান্ত বলে বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাংক পরিবর্তনের অথবা লেনদেনসংক্রান্ত নির্দেশ প্রদান করেন না। পার্টনার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বিসিবির আর্থিকবিষয়ক লেনদেনে স্বাক্ষর প্রদানকারী হিসেবে দুজন বোর্ড পরিচালক আছেনÑবোর্ডের ফিন্যান্স কমিটি চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম। বিসিবি সভাপতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষরদাতা নন।’

সংবাদমাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ফারুক নিজের সিদ্ধান্তে টাকা স্থানান্তর করেছেন বলে যে কথা বলা হয়েছে, সেটি খ-ন করে বিবৃতিতে এসব উল্লেখ করে বিসিবি। যেখানে বলা হয়েছে, আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদানের অংশ হিসেবে বোর্ড তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলো পুনর্মূল্যায়ন করে এবং শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই লেনদেনে জড়িত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।

ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২৩৮ কোটি টাকা ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকার ব্যাংকগুলোতে পুনর্বিনিয়োগ করে। বাকি ১২ কোটি বিসিবির পরিচালনা ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি তার অর্থ ও স্থায়ী আমানত সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৩টি ব্যাংকের হাতে দিয়েছে জানিয়ে বলা হয়, এর ফলে আগের তুলনায় বিসিবির স্থায়ী আমানতের  ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ব্যাংকিং অংশীদারের কাছ থেকে আনুমানিক ১২ কোটি টাকার আর্থিক স্পনসরশিপ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আরও প্রায় ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

×