ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

ফুরফুরে মেজাজে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা, সাগরিকায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু সোমবার

মান বাঁচানোর চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রামে শান্তরা

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

মান বাঁচানোর চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রামে শান্তরা

সিলেট টেস্টে আলো ছড়ানো দুই তারকা- জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ একফ্রেমে

সিলেট টেস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। সেই হারের পর এখন মান বাঁচানোর লড়াই নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনীর। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার দু’দল একসঙ্গেই পৌঁছেছে সেখানে। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফুরফুরে মেজাজে আছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। পুরো চাপ এখন বাংলাদেশ দলের ওপর।

কারণ সিরিজ বাঁচাতে হলে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই। ২০১১ সালে একমাত্র টেস্টের সিরিজে তারা বাংলাদেশকে নিজেদের মাঠে হারিয়েছে। আর প্রায় সাড়ে ৬ বছর পর কোনো টেস্ট তারা জিতেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সবমিলিয়ে তাই মান বাঁচানোর প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে শান্তদের জন্য। 
চট্টগ্রামের সাগরিকায় অবস্থিত স্টেডিয়ামের নতুন নাম বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম। সেই নামেই এবার ভেন্যুটি যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট দিয়ে। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় ২০০৫ সালে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। জিম্বাবুয়েই ছিল প্রতিপক্ষ। পরে দ্বিতীয় টেস্ট ড্র করে সিরিজও জিতে নেয় প্রথমবারের মতো। ২০ বছর পর সেই চট্টগ্রামেই এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হার ঠেকানোর লড়াই শান্তদের। যদিও মাঠ ভিন্ন।

বর্তমানে নাম বদলে যাওয়া সাগরিকার মাঠে ২০১৪ সালে একবারই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ১৮৬ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে তারা। ১৪ বছর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। তারপর ৫টি সিরিজের তিনটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ এবং দুটি সিরিজ হয়েছে ড্র। সেদিক থেকে সিলেটে অবিস্মরণীয় সাফল্যই পেয়েছে এবার জিম্বাবুয়ে সাড়ে ৬ বছর পর আবার বাংলাাদেশকে হারিয়ে। লজ্জার পরাজয় শান্তদের।

সর্বশেষ ৫ বছরে (২০১৯-২০২৪) সাগরিকায় ৭ টেস্ট খেলে মাত্র একটি ড্র করতে পারলেও বাকি ৬ টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে দুঃসহ হার ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১৯ সালে। সর্বশেষ ৩ টেস্টে এই মাঠে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র লড়তে পারেনি বাংলাদেশ দল। 
সিলেটে ব্যাট হাতে শান্ত আর বল হাতে মেহেদি হাসান মিরাজ ছাড়া কেউ সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি। এখন মান বাঁচানোর লড়াই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। স্পিনিং উইকেটে এবার প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের পরিকল্পনা স্বাগতিকদের। চট্টগ্রামে আগামী ২ দিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবে উভয় দল। সোমবার (২৮ এপ্রিল) মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। কিছুটা পরিবর্তন নিয়েই নামবেন শান্তরা।

ওপেনিং জুটিতে দেখা যেতে পরিবর্তন। সাদমান ইসলামের জায়গাটা নিতে পারেন ৩ বছর পর ফেরা এনামুল হক বিজয়। আর নাহিদ রানা যেহেতু নেই, বাড়তি স্পিনার খেলাতে পারে বাংলাদেশ। পেস আক্রমণে সেক্ষেত্রে থাকবেন দু’জনÑ মিরাজসহ স্পিনার ৩ জন।

×