
১৫৩ রানের ইনিংস খেলার পথে সৌম্য সরকার। ছবি: ডিপিএল
আরও একবার ব্যর্থ বাংলাদেশ। এ নিয়ে ঘরের মাঠে টানা ছয় টেস্টে হারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনে আজ (বুধবার) জাতীয় দলের ব্যাটাররা যখন হতাশ করল ডিপিএলে তখন ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়। দুজনেই হাঁকালেন দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরি।
মিরপুরে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১০ রানে হারিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের আবাহনী। বিফলে গেছে গাজী অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের (১০৮) সেঞ্চুরি।
বিকেএসপিতে অগ্রনী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১০৩ রানে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। ১১২ বলে ১৭ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ১৫৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সৌম্য।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তাঁর নবম সেঞ্চুরি। ৯ সেঞ্চুরির চারটিতেই ১৫০ ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। এর একটি আবার ২০৮ রানের ইনিংস। যেটি এই সংস্করণে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫০ ছোঁয়া ইনিংস খেলার রেকর্ডও এখন সৌম্যর। তিনটি ১৫০ ছোঁয়া ইনিংস নিয়ে দুইয়ে তামিম ইকবাল।
বিজয়ের কথাও আলাদা করে বলতে হচ্ছে। আগের ম্যাচে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৫০তম সেঞ্চুরি হাঁকানো এ ব্যাটার পরেই ম্যাচেই পেয়ে গেছেন ৫১তম সেঞ্চুরি। এবারের লিগে এটি তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি। রান তাড়ায় ১১৩ বলে ৯ চারে ১০৮ রান করলেও আবাহনীর দেওয়া ২৫০ রানের লক্ষ্য থেকে ১১ রান দূরে থেমেছে তাঁর দল।
জাতীয় জার্সিতে ব্যর্থতার ঘানি টানা দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়ের বিকল্প হতে পারেন অভিজ্ঞ সৌম্য ও বিজয়।
বিকেএসপিতে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে তাওহীদ হৃদয়ের মোহামেডান।
১৪ ম্যাচে ১২ জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার রেসে এগিয়ে আবাহনী। সমান ম্যাচে ১১ জয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মোহামেডান। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে গাজী গ্রুপ। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ।
মিরাজ /রাজু