
ফাইল ছবি
ইসরাইলের হাইফা ও তেলআবিবের কাছের জাফা শহরে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন। এবার ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
বুধবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনি বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, “আমরা হাইফায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হাইপারসনিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছি। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে এবং ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা আটকাতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “এই হামলার পর হাইফায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক ইসরাইলি নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়।”
জাফা শহরের একটি কৌশলগত জায়গায়ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এখন পর্যন্ত সেই হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
‘আমাদের প্রতিরোধ চলবে’
ইয়াহিয়া সারি বলেন, “যতক্ষণ না গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ হচ্ছে এবং অবরোধ তুলে নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা প্রতিরোধ চালিয়ে যাব। এটা আমাদের দায়িত্ব।”
বড় যুদ্ধের ইঙ্গিত?
ইসরাইল ও হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা নিজেদের ‘গাজা মুক্তির যুদ্ধে অংশীদার’ বলেও দাবি করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইয়েমেন সত্যিই যদি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে থাকে, তাহলে এটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক। কারণ, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র খুব দ্রুতগতির এবং রক্ষা করা কঠিন।
ইসরাইল এখন শুধু গাজার হামাস নয়, বরং উত্তরে হিজবুল্লাহ, পশ্চিমে ইরানপন্থি যোদ্ধা এবং দক্ষিণে ইয়েমেনি হুথিদের প্রতিরোধও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাই বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
সূত্র: মেহের নিউজ
এসএফ