
ছবিঃ সংগৃহীত
ম্যাচ শেষ হতেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরীর উপর চড়াও হন বার্নলির কিছু উল্লসিত সমর্থক। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে হাতাহাতির মতো পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়। মাঠের মধ্যে টানটান উত্তেজনার রেশ ছড়ায় মাঠের বাইরেও।
জিতলেই হামজার দল শেফিল্ড ইউনাইটেড উঠে যেত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। কিন্তু সেই ম্যাচে বার্নলির কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় শেফিল্ড। যদিও এখনো শেফিল্ডের সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি—তাদের খেলতে হবে প্লে-অফ। তবে ম্যাচের উত্তাপ শুধু মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকেনি।
প্রিমিয়ার লিগে উঠে যাওয়ার আনন্দে বার্নলির সমর্থকেরা টার্ফ মুরে নেমে আসেন। তখনই কিছু সমর্থক শেফিল্ডের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মাঠের কিছু অংশে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং ঠেলাঠেলির দৃশ্যও দেখা যায়। এ সময় হামজা চৌধুরী স্কাই ক্যামেরায় ধরা পড়েন এক উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, এক পর্যায়ে টেনে হিঁচড়ে তাকে টানেলের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে, বার্নলির খেলোয়াড়রা তখনও জয় উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন। তবে হামজাকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই জানতে চাইছেন—আসলে কী হয়েছিল মাঠে? কী বলা হয়েছিল হামজাকে? কেনই বা এতটা উত্তেজিত হয়ে উঠলেন এই বাংলাদেশি ফুটবলার?
গুঞ্জন উঠেছে, হামজার ফিলিস্তিনের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থনের কারণেই তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন কিছু বার্নলি সমর্থক। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনো নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি। ব্রিটেনের একাধিক গণমাধ্যম ও শেফিল্ড সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের ভাষ্যমতে, হামজাকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করা হয় এবং বার্নলির কয়েকজন খেলোয়াড় ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিও প্রদর্শন করেন।
এর মধ্যে আরও গুরুতর অভিযোগ উঠে আসে—হামজাকে নাকি বর্ণবাদী মন্তব্যও শুনতে হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত সে অভিযোগেরও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ইউরোপিয়ান ফুটবলে বর্ণবাদের অভিযোগকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়, এবং সাধারণত ক্লাবের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়। কিন্তু হামজার ঘটনায় এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, যদিও অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই।
ইমরান