ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

সেই গোবিনাথানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫৯, ২০ এপ্রিল ২০২৫

সেই গোবিনাথানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

সর্বশেষ ম্যাচে শুক্রবার কাজাখস্তানের বিপক্ষে জয়ের ফলে বাংলাদেশ এখন দারুণ উজ্জীবিত

পরিসংখ্যান বলছে এএইচএফ কাপ হকিতে ইন্দোনেশিয়াকে খুব বেশি একটা পাত্তা দেয় না বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত আসরে গ্রুপ পর্বে তাদেরকে ৭-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লাল-সবুজ বাহিনী। আজ রবিবার সেই ইন্দোনেশিয়াকে (স্বাগতিক দল) আবারও গ্রুপ পর্বে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে তারা। জিবিকে হকি ফিল্ডে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আজ বাংলাদেশ দল ফেভারিট হলেও এই নিশ্চয়তা দিতে পারছে না যে আজকের ম্যাচে তারা ইন্দোনেশিয়াকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারবে কি না এবং আদৌ হারাতে পারবে কি না। 
কিন্তু এমন সংশয়ের কারণটা কি? কারণ একটা আছে বৈকি এবং সেটা বাংলাদেশ দলের জন্য একটু অস্বস্তিকরই বটে। ভণিতা না করে কারণটা খোলাসা করা যাক। আজকের ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের যিনি কোচ, সেই গোবিনাথান কৃষ্ণমূর্তি বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন। কেননা গোবিনাথান যে এক সময় বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন। এছাড়া কাজ করেছিলেন বিকেএসপিতেও। ফলে বাংলাদেশ দলের সব খেলোয়াড়ের কোথায় দুর্বলতা, কোথায় শক্তিমত্তা ... সবই যে তার নখদর্পণে! আর এই বিষয়টিকেই ভয় পেতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ।
যদিও পয়েন্ট টেবিলের হিসাব কষলে ইন্দোনেশিয়ার চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে বাংলাদেশ। উভয় দলই এ পর্যন্ত গ্রুপে (পুল-বি) খেলেছে একটি করে ম্যাচ। বাংলাদেশ জিতে শুভসূচনা করেছে। তারা কাজাখস্তানকে হারিয়েছে ৪-১ গোলে। পক্ষান্তরে ইন্দোনেশিয়া তাদের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে হোঁচট খেয়েছে। একপর্যায়ে ইন্দোনেশিয়া পিছিয়ে পড়েও স্কোরলাইনে সমতা নিয়ে এসেছিল। 
বাংলাদেশ আছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে (৩ পয়েন্ট)। ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাইবাহিনী। যদিও বাংলাদেশের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা (নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ১-১ গোলে ড্র করে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। পক্ষান্তরে এক ম্যাচ খেলে পয়েন্টের ‘হালখাতা’ খুলতে না পারা ইন্দোনেশিয়া আছে গ্রুপে পাঁচ দলের মধ্যে একদম তলানিতে।  
এএইচএফ কাপ হকিতে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে থাকা মামুনুর রশীদও ভালো করে জানেন গোবিনাথান অতীত জানাশোনা কাজে লাগাতে চাইবেন। তাই তিনিও রণকৌশল আঁটছেন জয়ের লক্ষ্যে। 
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ দু’টি। প্রথমত, ওরা স্বাগতিক। যদিও প্রথম ম্যাচে হেরেছে, কিন্তু নিজেদের টার্ফে খেলার বাড়তি সুবিধা ওরা পাবে, ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে। দ্বিতীয়ত, ওদের কোচ গোবিনাথান, যিনি বাংলাদেশের ও বিকেএসপির কোচ ছিলেন। ফলে তিনি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কৌশল-সামর্থ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এই জ্ঞানটুকুই তিনি লাল-সবুজ বাহিনীর বিপক্ষে কাজে লাগাতে চাইবেন প্রাণপণে। ফলে ম্যাচটা খুব সহজ না-ও হতে পারে বাংলাদেশের জন্য। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত গোবিনাথানের ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে জিততে পারে কি না মামুনুরের বাংলাদেশ।

×