
মেহেদি হাসান মিরাজ
ঘরের মাটিতে আরেকটি টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশের। আর দেশের মাটিতে ক্রিকেট মানেই স্পিনারদের অভয়ারণ্য। তবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে উইকেট পুরোপুরি স্পিন নির্ভর থাকবে না। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কথা অনুসারে ভালো উইকেট থাকবে এখানে। তাই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট হাতে নতুন কিছু অর্জনের মোক্ষম সুযোগ।
টেস্টে ৬০০৭ রান করে এখন বাংলাদেশের সেরা মুশফিক ইংল্যান্ডের জিমি বেয়ারস্টো, ভারতের গুড্ডাপা বিশ^নাথ ও দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবসকে ছাড়িয়ে যাওয়ার খুব নিকটে। আর ১৯৫২ রান করা মিরাজ ৪৮ রান করলে দুই হাজার রান করা বাংলাদেশের নবম টেস্ট ব্যাটার হবেন। পাশাপাশি যদি এই টেস্টে ১০ উইকেট নিতে পারেন তবে টেস্ট ইতিহাসে ২৬তম ও দেশের দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে ২ হাজার রানের পাশাপাশি ২০০ উইকেটের মালিক হবেন তিনি।
দেশের মাটিতে ব্যাট হাতে সবসময়ই দুর্দান্ত মুশফিক। তিনি দেশের মাটিতে এখন পর্যন্ত ৫৫ টেস্টে ১০০ ইনিংস ব্যাট করে ৩৫৩২ রান করেছেন। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ১৭৮ রান করতে পারলে ঘরের মাটিতে ইনজামাম উল হককে (৪৯ টেস্টে ৩৭০৯) ছাড়িয়ে যাবেন। ৬ রান করলে ইংল্যান্ডের কলিন কাউড্রে (৫৫ টেস্টে ৩৫৩৭) ও ৬০ রান করলে নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককুলামকে (৪৯ টেস্টে ৩৫৯১) ছাড়িয়ে যাবেন। এসবই ঘরের মাটিতে অর্জনের ক্ষেত্রে। আর টেস্ট ক্রিকেটে পেছনে ফেলার সুযোগ কয়েকজন কিংবদন্তিকে।
৩৬ রান করলে বেয়ারস্টোকে (১০০ টেস্টে ৬০৪২), ৭৪ রান করলে বিশ^নাথকে (৯১ টেস্টে ৬০৮০) ও ১৬১ রান করলে গিবসকে (৯০ টেস্টে ৬১৬৭) ছাড়িয়ে যাবেন মুশফিক। দেশের নবম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ২ হাজার রান করতে মিরাজের দরকার ৪৮ রান। ৫১ টেস্টে ১৯৫২ রান করেছেন তিনি এবং ১৯০ উইকেট শিকার করেছেন। আর ১০ উইকেট নিতে পারলে দেশের তৃতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারী তিনি। ৭১ টেস্টে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪৬ উইকেট সাকিব আল হাসানের। ৫১ টেস্টে ২১৭ উইকেট নিয়ে দুইয়ে তাইজুল।
যদি ব্যাটে-বলে দুটিই অর্জন করতে পারেন মিরাজ সেক্ষেত্রে টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ২৬তম অলরাউন্ডার হিসেবে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের মালিক হয়ে উঠবেন টেস্টে। সেই অর্জনে আছে শুধু বাংলাদেশের সাকিবের নাম। তিনি ৪৬০৯ রানের পাশাপাশি ২৪৬ উইকেট নিয়ে অনন্য উচ্চতায়।