
নারী স্কোয়াশ লিগের বিজয়ী খেলোয়াড়রা যখন এক ফ্রেমে (ছবি : বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন)
বাংলাদেশের মহিলাদের ক্ষমতায়ন করার স্লোগান নিয়ে আয়োজিত “বাংলা নববর্ষ ৩য় মহিলা স্কোয়াশ লিগ ২০২৫"-এর সফল সমাপ্তি হয়েছে আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল)। ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার ক্লাব স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে আয়োজিত দু'দিন ব্যাপি এই প্রতিযোগীতায় ১২টি ক্লাব/প্রতিষ্ঠানের ৩০ নির্বাচিত নারী স্কোয়াশ খেলোয়াড় উন্মুক্ত, এলিট, উন্মুক্ত প্লেট এবং এলিট প্লেট এই চার গ্রুপে অংশগ্রহণ করেছেন।
অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলো হলো : সেনাবাহিনী, এইউবি, নির্ঝর পাবলিক স্কুল, বিএএফ শাহীন স্কুল, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ভাষানটেক স্কুল, কালশী স্কুল, কালাচাঁদপুর স্কুল, গোল্ডেন বেঙ্গল স্কুল, কুমিল্লা রেসিডিয়েনসিয়াল স্কুল, মিরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল ও পোস্তগোলা রিয়ারভিউ স্কুল। প্রতিযোগীতাটি নকআউট পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়েছে।
অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিততামূলক খেলায় এলিট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন-নাবিলা তাসনিম উর্মি, নির্ঝর পাবলিক স্কুল, রানারআপ-রিয়াজুল জান্নাত উর্দু, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও তৃতীয়-মিসকাত জান্নাত মেঘনা, ভাষানটেক স্কুল; উন্মুক্ত গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন- নওশীন আরিকা, শাহীন স্কুল, রানারআপ-সায়মা আলী ইয়ারা, ভাষানটেক স্কুল ও তৃতীয়-তাসনিম হোসেন রাফিয়া; উন্মুক্ত প্লেট গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন-সৈনিক মনিরা আক্তার মনি, সেনাবাহিনী, রানারআপ-পূজা রানী পার্সী, কালাচাঁদপুর স্কুল ও তৃতীয়-আজমাইন কাদির, ভাষানটেক স্কুল এবং এলিট প্লেট গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন-উম্মে মরিয়ম অপ্সরা, গোল্ডেন বেঙ্গল স্কুল, রানারআপ-আয়শা আকতার স্নেহা, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও তৃতীয়-সৈয়দা আকশা ইস্পিতা, ভাষানটেক স্কুল।
বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম, এসজিপি, এসউপি, পিএসসি, পিএইচডি সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি বিকেএসপিতে স্কোয়াশের সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি এবং মহিলা স্কোয়াশ খেলোয়াড় নেয়ার পরিকল্পনার কথা বলেন।
বাজেট সল্পতার জন্যে পূর্ব নির্ধারিত স্পন্সর এ বছর পৃষ্ঠপোষকতা প্রত্যাহার করায় ফেডারেশন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেছে। এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য হলো-নারী স্কোয়াশ খেলোয়াড়দের প্রস্তুতির মান যাচাই, পরবর্তী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নারী স্কোয়াশ দল প্রেরণ এবং নারীদের ক্ষমতায়ন করা।
পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি ১৪ ছাত্রী স্কোয়াশ খেলোয়াড়কে "স্কোয়াশ এবং লেখাপড়া" বৃত্তির টাকা হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, ‘স্কোয়াশ খেলার পাশাপাশি লেখাপড়ায় ভালো করতে হবে’-এই শর্তে সমাজে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের স্কোয়াশ খেলায় আকৃষ্ট ও ধরে রাখার জন্যে স্কোয়াশ ফেডারেশন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিভাবান নারী খেলোয়াড়দের মাসিক বৃত্তি প্রদান করে থাকে।
১৮ এপ্রিল স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিএম কামরুল ইসলাম, এসপিপি (অব) প্রতিযোগিতার উদ্ভোধন করেছিলেন।
রুমেল খান / রাজু