
.
কোয়ার্টারে প্রথম দেখায় আর্সেনালের কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত রিয়াল মাদ্রিদকে সেমির টিকিট পেতে ফিরতি লেগে অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে! বড় মঞ্চ, বড় প্রতিপক্ষ, কাজটা ভীষণ কঠিন। ফুটবলীয় বাস্তবতায় অনেকেই লস ব্ল্যাঙ্কোসদের শেষ দেখে ফেলছেন, তাদের চোখে আর্সেনালের সেমিতে ওঠা সময়ের ব্যাপার মাত্র! ঘোরের মধ্যে থাকা সেই সব বোদ্ধা আর সমর্থকদের সতর্ক করে দিয়েছেন রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি, ‘৩-০ থেকে যদি কোনো দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তবে সেটা হবে রিয়াল’। আর ক্লাবটির সাবেক ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্সেলো ছোট্ট করে বলেছেন,‘রিয়াল মাদ্রিদ ইজ রিয়াল মাদ্রিদ’। বার্নাব্যুতে ম্যাচটি শুরু বাংলাদেশ সময় আজ রাত একটায়। আর সানসিরোতে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হচ্ছে ২-১ গোলের জয়ে এগিয়ে থাকা ইন্টার মিলান।
‘ফুটবলে সবকিছু সবসময়ই পরিবর্তিত হয়। যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। এটা খুবই কঠিন, কিন্তু বার্নাব্যুতে অদ্ভুত কিছু ঘটেছে এর আগেও। কেউ যদি ৩-০ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তবে সেটা রিয়ালই হতে পারে।’ বলছেন রিয়াল কোচ আনচেলত্তি। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে সান সিরোতে ১৯৮৪/৮৫ মৌসুমে উয়েফা কাপের (চ্যাম্পিয়নস লিগ) সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ২-০ ব্যবধানে হেরে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর সিরি-আ প্রতিপক্ষকে সতর্ক করে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড জুনিতো বলেছিলেন,‘সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৯০ মিনিট অনেক বড় সময়’। যুক্তি যেখানে শেষ হয়, জুনিতোর এই বাক্যটা সেখানে টনিক হিসেবে কাজ করে। এমিরেটসে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগটা ৩-০ ব্যবধানে হেরে যাওয়ায়, রিয়ালকে আরেকবার রূপকথার গল্প লিখতে হবে। আগেও তারা পিছিয়ে থেকে ‘কামব্যাকের’ গল্প লিখেছে। তবে এবারের ব্যাপারটা সত্যিই কঠিন। কারণ উয়েফার শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরের নাম চ্যাম্পিয়নস লিগ হওয়ার পর ৩ গোলে পিছিয়ে থেকে কখনোই ফিরে আসতে পারেনি লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। সর্বশেষ ইউরোপিয়ান কাপ যুগে ১৯৭৫/৭৬ মৌসুমে তারা এমন কামব্যাক করেছিল। সেবার প্রথম লেগে ডার্বি কাউন্টির মাঠে ৪-১ গোলের হারের পর দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে জিতেছিল ৫-১ ব্যবধানে।
সাধারণ হিসাব বলছে প্রথম দেখায় ৩-০ গোলের বড় জয়ে সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে আর্সেনাল। তবে ক্লাবটির সাবেক তারকা মার্সেলো মনে করিয়ে দিলেন, ‘রিয়ালকে কখনোই বিবেচনার বাইরে রাখা যাবে না। যদিও তিন গোল মানে অনেক বড় কিছু। তবে রিয়ালকে ভাবনায় রাখতেই হবে। কারণ রিয়াল মাদ্রিদ ইজ রিয়াল মাদ্রিদ এবং তারা জানে কিভাবে ঘুরে দাঁড়ায় হয়।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফিরতি লেগ হচ্ছে বার্নাব্যুতে। নিজ আঙিনায় সমর্থকেরা দারুণ প্রেরণা জোগাবে এবং ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাসী যে, তারা পারবে।’ রিয়ালের অদম্য মানসিকতার গল্প বেশ পুরনো। ৪ গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যাচও যারা ৫ গোল করে জিততে পারে।
প্যানেল