
সম্প্রতি এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জপদক জিতেছে বাংলাদেশ, (ছবি : কাবাডি ফেডারেশন)
১৪ এপ্রিল ছিল বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। শুভ নববর্ষের এই আনন্দ ভাগাভাগি করতে এদিন নাগরিকরা যে যার মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন, উদযাপন করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল এমনটা করেনি। প্রবল ইচ্ছে থাকলেও তারা ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে যাননি। কেন? সেটা দেশের স্বার্থে!
আগামী জুনে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ কাবাডি। সেখানে অংশ নেবে বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল। সেজন্য কঠোর অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে তারা। তবে তার আগে তারা যাবে এক ঐতিহাসিক সফরে। প্রথমবারের মতো কোন ‘টেস্ট সিরিজ’ খেলবে তারা।
গত ফেব্রুয়ারিতে নেপালের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ কাবাডি দল। পল্টন ময়দানে হয়েছে পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ। ৪-১ ব্যবধানে নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ৫১ বছর পর এই টেস্ট সিরিজ আয়োজন করে কাবাডি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি। এবার প্রথমবারের মতো কাবাডি টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ নারী দল।
আগামী ১৯ এপ্রিল নেপালের কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল। ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ম্যাচ। সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ২১, ২২, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের মতো নেপাল নারী কাবাডি দলও প্রথমবার টেস্ট সিরিজ খেলবে। এই সিরিজ নিয়ে নেপালও দারুণ উচ্ছ্বসিত। প্রচার-প্রচারণায় তারা ব্যস্ত সময় পার করছে। আমাদের এই কমিটির অধীনে প্রথমবার বাংলাদেশ নারী দল টেস্ট সিরিজ খেলবে যা বাংলাদেশের কাবাডির জন্য বড় এক ব্যাপার। নেপালে আমাদের মেয়েরা ভালো কিছু করবে বলে আমরা আশা করছি।’
ভারতে আসন্ন নারী কাবাডি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নেপালের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। এ বছর ১ থেকে ১৩ জুন ভারতের বিহারে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। ইরানে এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জজয়ের পর পরই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ দল। ধানমণ্ডির রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে চলছে নারী দলের প্রস্তুতি। কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা ও আরদুজ্জামান মুন্সীর তত্ত্বাবধানে চলছে অনুশীলন কার্যক্রম।
এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্য, ‘যেহেতু জুনে নারী বিশ্বকাপ তাই আমাদের কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা প্রয়োজন। নেপালের বিপক্ষে আমরা পাঁচটি ম্যাচ খেলব যা আমাদের অনেক কাজে দেবে। বিশ্বকাপের আগে আমাদের মেয়েদের অভিজ্ঞতা বাড়বে বলেই বিশ্বাস করি। এরপর আমরা চেষ্টা করছি বিশ্বকাপ শুরুর ১৫ দিন বা এক মাস আগে ভারত যাওয়ার জন্য। সেখানে রাজ্য দলের বিপক্ষে আমরা কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চাই। এছাড়া থাইল্যান্ডের বিপক্ষেও ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা চলছে। আমরা থাইল্যান্ড যাব অথবা থাইল্যান্ড আমাদের এখানে আসবে।’
নারী কাবাডিতে বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিশালী নেপাল দল। সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের বিপক্ষে জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। এসএ গেমস ও এশিয়ান গেমসে নেপাল নারী দলের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের আসন্ন টেস্ট সিরিজ দিয়ে নেপালের বিপক্ষে জয়ে ফিরতে চায় বাংলাদেশ দল।
জনকণ্ঠের সঙ্গে আলাপনে জাতীয় নারী কাবাডি দলের কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা (যিনি বাংলাদেশ নারী কাবাডির জীবন্ত কিংবদন্তীও বটে। খেলেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দল ও জাতীয় নারী হ্যান্ডবল দলেও) বলেন, ‘এবার পহেলা বৈশাখের দিন বাইরে ঘুরতে যাইনি। দলকে অনুশীলন করানোতেই ব্যস্ত ছিলাম। দেশের খেলা বলে কথা।’
প্রথম ও ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ সামনে। প্রতিপক্ষ নেপাল। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ধারণা কেমন? মালেকার জবাব, ‘২০১৯ ও ২০২৩ সালে নেপালের সঙ্গে আমরা খেলেছি। তখনকার নেপালের চেয়ে এখনকার নেপাল আরও বেশি শক্তিশালী। তবে ওই দলের ২/৩ জন খেলোয়াড় এখনও খেলছে। দলের প্লেয়াররা নেপাল সফর নিয়ে এক্সাইটেড। তবে আমাদের মূল টার্গেট কিন্তু ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ কাবাডি। সেখানেও হয়তো নেপালকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে পারি।’
মালেকা আরও যোগ করেন, ‘মূলত নেপাল সফরে আমাদের অফেন্সে না ডিফেন্সে— কোন জায়গায় ভুলত্রুটি আছে, সেগুলোই বের করা হবে এবং বিশ্বকাপ শুরুর আগে সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হবে।’
এরপর মালেকা যেটা জানালেন, তা শুনে রীতিমতো চমকে যেতে হলো, ‘আমাদের দলে এমন দুজন প্লেয়ার আছে, যারা ইনজুরিগ্রস্ত। কিন্তু তারা রীতিমতো মনের জোরে নিয়মিত প্র্যাকটিস করে যাচ্ছে এবং তারা নেপালেও যাবে এবং খেলবে!’ সেই দুজন প্লেয়ারের নামও জানান মালেকা, ‘একজন আমাদের অধিনায়ক শ্রাবণী মল্লিক এবং অন্যজন দলের অপরিহার্য প্লেয়ার স্মৃতি খাতুন। শ্রাবণী নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নিচ্ছে। আর স্মৃতির তো দুই পায়েরই লিগামেন্ট ছেড়া! ইরানে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিল। সেখানে সে রোজা রেখেও খেলেছে। দলের প্রতি তারা এতটাই নিবেদিতপ্রাণ যে চোটকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে তারা এখনও দলের সঙ্গে আছে। স্মৃতি নিয়মিত অনুশীলন করছে এই অবস্থা নিয়েও।’
দলের অধিনায়ক শ্রাবণী মল্লিক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘ইরানে খেলতে গিয়ে বা পায়ে চোট পেয়েছিলাম। ঈদের আগে থেকে অনুশীলন করছি না। নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নিচ্ছি। এখন অনেকটাই ভালোর পথে। অবশ্যই নেপাল যাব এবং দেশের হয়ে জানপ্রাণ উজাড় করে খেলবো।’
টেস্ট সিরিজে দলের লক্ষ্য প্রসঙ্গে শ্রাবণীর ভাষ্য, ‘ইচ্ছেটা অনেক বড়। আমরা জিতবো, সেই প্রত্যাশা-আত্মবিশ্বাস আছে। আমাদের প্রস্তুতিও ভালো হচ্ছে। যদিও নেপাল অনেক ভালো দল। তারপরও আমরা সিরিজ জিততে সর্বাত্নক চেষ্টা করবো। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য ওয়ার্ল্ড কাপ।’
প্রতিপক্ষ নেপাল সম্পর্কে শ্রাবণী বলেন, ‘আমি নেপালের বিপক্ষে একটাই ম্যাচ খেলেছি, ২০১৯ এসএ গেমসের নকআউট পর্বে। ওই ম্যাচে পাকিস্তানি রেফারির পক্ষপাতিত্বের কারণে দুঃখজনকভাবে আমরা মাত্র ১ পয়েন্টে হেরে গিয়েছিলাম! সেবারের দলের চেয়ে এবারের নেপাল দলটা আরও ভালো। কিন্তু আমাদের সামর্থ্য আছে তাদের হারাবার। তবে এটাও জানি এত সহজে ওদের হারানো কঠিন। হয়তো আমরা ৩-২ ব্যবধানে সিরিজটা জিতবো।’
দলের আরেক কোচ আরদুজ্জামান মুন্সী (তিনিও জাতীয় পুরুষ কাবাডি দলের সাবেক খ্যাতিমান খেলোয়াড়) জনকণ্ঠকে জানান, ‘সবাই জিততে চায়। আমরা জিততে চাই নেপালের বিরুদ্ধে। তবে এটা ঠিক, স্বাগতিক বলে ওরা বাড়তি সুযোগ-সবিধা পাবে। ওদের প্রস্তুতিও আমাদের চেয়ে বেশি। তারপরও আমরা ওদের এত সহজে ছেড়ে দেব না।’
মালেকা-শ্রাবণীর মতো আরদুজ্জামান-ও একই কথা বললেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপ। এর আগে থাইল্যান্ডে গিয়ে আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবো।’
প্রথম টেস্ট সিরিজ নিয়ে দলের খেলোয়াড়রা কতটা রোমাঞ্চিত? আরদুজ্জামানের উত্তর, ‘খুব বেশি না, আবার একেবারে কমও না। একদম নরমাল আছে মেয়েরা। তবে ওদের মধ্যে জেতার ক্ষুধাটা আছে। কদিন আগে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জিতে ওদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’
খেলোয়াড়ী জীবনের অবসান ঘটিয়ে কোচ হিসেবে নতুন দায়িত্ব কেমন উপভোগ করছেন? ‘নতুন দায়িত্ব। বেশ আগ্রহ নিয়েই কাজ করছি। আশাকরি খেলোয়াড় জীবনের মতো কোচ হিসেবেও সফল হবো।’
আরদুজ্জামান কোন ক্লাব দলে কাজ করার আগেই সরাসরি জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করছেন, তাও আবার নারী দলে। নারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে কোন সমস্যা-অস্বস্তি হয় না? আরদুজ্জামান বলেন, ‘অনুশীলনের সময় একটু কঠোর থাকি ঠিকই, কিন্তু মাঠের বাইরে বাইরে প্লেয়ারদের সঙ্গে আমি অনেক কোমল আচরণ করি। ওরা ব্যাপারটা বোঝে।’
স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের খেলাধুলার গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে বিভিন্ন ফেডারেশন পুনর্গঠন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে পশ্চিম বাংলার আসানসোলে ভারতের জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রতিযোগিতা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ থেকে কাজী আনিছুর রহমান ও আমীর হামজা আসানসোলে যান। তখন থেকে ভারতীয় কাবাডি খেলার নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়। ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৮০ সালে ভারতের এনআইএস থেকে কাবাডি খেলার ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে আবদুল হক বাংলাদেশে কাবাডি খেলার কলাকৌশল ও নিয়মকানুন প্রবর্তন করেন।
বাংলাদেশের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯৮৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ গেমসে কাবাডি খেলা নিয়মিত ইভেন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। তখন থেকে কাবাডি খেলা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখে। ১৯৯০ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে কাবাডি খেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে এই খেলাকে আন্তর্জাতিক মর্যাদায় উন্নীত করা হয়। এরপর থেকে কাবাডি খেলা নিয়মিত ইভেন্ট হিসেবে এশিয়ান গেমসে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
সদিচ্ছা, পরিকল্পনা, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের অযোগ্যতা-অদক্ষতা-অদূরদর্শিতার ফলেই বাংলাদেশের কাবাডি বছরের পর বছর পিছিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যারা কাবাডির দায়িত্বে এসেছেন, তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিলম্বে হলেও ধীরে ধীরে আবারও এগিয়ে যাচ্ছে বা জেগে উঠতে শুরু করেছে বাংলাদেশের কাবাডি।
বাংলাদেশে মহিলা কাবাডির পথচলা শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। তখন কেবল ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ হতো। এরপর হাঁটিহাঁটি পা পা করে অনেক দূর এগিয়েছে মহিলা কাবাডি। এসেছে আন্তর্জাতিক পদক। বাংলাদেশের নারীরা দেশের পতাকা উড়িয়েছেন কাবাডি বিশ্বকাপেও।
বাংলাদেশের নারীরা আন্তর্জাতিক কাবাডিতে প্রথম অংশগ্রহণ করে ১৯৯৫ সালে। সেবার কলকাতা শহরের ৩০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৭ জাতির একটি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। এরপর ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল অংশ নেয় এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হায়দরাবাদে। পরের বছর প্রথমবারের মতো সাউথ এশিয়ান গেমসে কাবাডি অন্তর্ভূক্ত হয় এবং বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল অংশ নেয়। ২০১০ সালে চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়ান গেমসেও অংশ নেয় বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল। সেবার অর্জন করে ব্রোঞ্জপদক। একই বছর ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল রৌপ্যপদক জয় করে।
এই প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ খেলবে জাতীয় নারী কাবাডি দল (ছবি : কাবাডি ফেডারেশন)
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয় দেশের নারী কাবাডি দল। এরপর ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ান ইনচনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জপদক জয় করে। ২০১৬ সালে ভারতের গৌহাটি ও শিলংয়ে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে রৌপ্যপদক অর্জন করে দেশের নারী কাবাডি দল। ২০১৯ সালেও তাদের হাত ধরে নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে এসেছে ব্রোঞ্জপদক। সবশেষ কদিন আগে ইরানে এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জপদক জিতেছে বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল।
এখন দেখার বিষয়, বিশ্বকাপ কাবাডির আগে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজে হিমালয়ের দেশে গিয়ে শ্রাবণীরা বিজয়ী হয়ে ফিরে আসতে পারে কি না।
রুমেল/শহীদ