
পিছিয়ে পড়া ম্যাচে জোড়া গোল করে মিয়ামিকে সেমিতে তুলে পরিবার নিয়ে উদযাপন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাঁদুকরের
‘মেসি এই দলের হৃদয়। মাঝেমধ্যে তাকে নিয়ে কথা বলতে আমার অস্বস্তি হয়, কারণ ২০ বছর ধরে তাকে চিনি আমি এবং তার ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে আমাকে পাশে থাকতে হবে।’- বলছিলেন ইন্টার মিয়ামি কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো। এই অস্বস্তি আসলে ভালোবাসার, কিংবদন্তীর প্রশংসায় ভাষা খুঁজে না পাওয়ার।
কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া ইন্টারি মিয়ামি দ্বিতীয় লেগেও পিছিয়ে পড়েছিল শুরুতে। পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতে নেয় তারা ৩-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয় ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় পৌঁছে যায় সেমি-ফাইনালে। জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক মেসি।
৪০ বছর বয়সি মাসচেরানোর সঙ্গে ৩৮ ছুঁইছুঁই মেসির সম্পর্ক অনেক পুরোনো। আর্জেন্টিনার হয়ে ২০০৫ সালে অভিষেকের সময় থেকেই একসঙ্গে খেলেছেন দুজন। ২০১০ সালে মাসচেরানো বার্সেলোনায় নাম লেখানোর পর সেখানেও সতীর্থ হয়ে যান দুজন।
কাতালান ক্লাবটিতে ২০১৮ পর্যন্ত ছিলেন মাসচেরানো। এখন আবার দুজন সঙ্গী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে। সম্পর্কটা এখন কোচ ও খেলোয়াড়ের। বন্ধুত্বেরও। ম্যাচ জয়ের পর সেটিই শোনালেন মায়ামি কোচ।
‘মেসি এই দলের হৃদয়। মাঝেমধ্যে তাকে নিয়ে কথা বলতে আমার অস্বস্তি হয়, কারণ ২০ বছর ধরে তাকে চিনি আমি এবং তার ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে আমাকে পাশে থাকতে হবে।’
‘সে এমন একজন, ফুটবলের সবকিছুই যার আছে। সে ইতিহাসের সেরা এবং এখনও সে নতুন পথ তৈরি করে চলেছে এবং নতুন প্রজন্মকে নির্দেশনা দিচ্ছে এবং সবকিছু জয়ের পরও মাঠের শেষ দিনটি পর্যন্ত এটা করে যাবে।’
মিরাজ/আশিক