
স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে তামিম ইকবাল
অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় পরিবারের সান্নিধ্যে গেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে শুক্রবার বাসায় ফিরেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। কিছু পরীক্ষা করাতে ও দাঁতের চিকিৎসার জন্য আজ শনিবার আবারও তামিমের হাসপাতালে যাওয়ার কথা আছে। হার্টে রিং পরানোর চার দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তামিম। বাসায় ফেরার পর তামিমের ফেসবুক পেজে এডমিন লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
ডাক্তারের বরাদ দিয়ে জানা গেছে, আপাতত তামিমের তেমন ঝুঁকি নেই। তবে বাসায় লম্বা সময় বিশ্রামে থাকতে হবে। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। সেই সঙ্গে আরেকটি প্রশ্নও সামনে এসেছে, আদৌ কি তামিম পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন? আর বাসায় থাকলেও চিকিৎসকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে তাকে।
অস্ত্রোপচারের পরদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর বলেছিলেন, স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে তামিমের। তবে অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে শরীর একটু থিতু হওয়ার বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করতে পারবেন তিনি।
গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বুকে ব্যথা অনুভব করার পর মাঠ ছাড়েন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক। নিকটস্থ সাভারের কেপিজে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যে শরীর আরও খারাপ করে অচেতন হয়ে পড়েন। ফলে দ্রুততার সঙ্গে সেই হাসপাতালেই ফেরানো হয় তাকে। জানা যায়, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার। দ্রুতই হার্টে স্টেন্ট বসানো হয়।
উন্নত চিকিৎসা নিতে বিদেশে যাওয়ারও গুঞ্জন আছে তামিমের। মোহামেডানের ট্রেনার থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসকদের তৎপরতায় একরকম মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরেন তিনি। পরদিন সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে পর্যবেক্ষণে থাকার পর ছাড়া পেয়ে বাসায় ফিরেছেন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার।
অন্যদিকে ধুমপান নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলায় অবশেষে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সেই চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদার।