
তামিম ইকবাল
জীবন আসলে কিছুই না, দম ফুরোলেই শেষ- এটা তো চিরসত্য। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফেরা তামিম ইকবাল বললেন, ‘জীবন আসলে অনেক ছোট। এই ছোট্ট জীবনে মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই। যে ভালোবাসা আমাকে আবার আপনাদের মাঝে ফিরিয়ে এনেছে।’
বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টস করার পরও কি মোহামেডান অধিনায়ক ভাবতে পেরেছিলেন, ফিল্ডিংয়ে নয় হাসপাতালে যেতে হবে তাকে, পাঞ্জা লড়তে হবে মৃত্যুর সঙ্গে। পরিস্থিতি এত দ্রুত বদলে যেতে থাকে যে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার এনেও তাতে তোলা সম্ভব হয়নি। ভর্তি করা হয় স্থানীয় কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে। এক ঘণ্টারও কম সময়ে দুবার হার্ট অ্যাটাক, দ্বিতীয়বার ম্যাসিভ (ভয়াবহ)।
তৎক্ষণাৎ হার্টে স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়। কিছুটা শঙ্কামুক্ত ৩৬ বছর বয়সী ক্রিকেটারকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাখা হয় সিসিইউতে। পরিবার, আত্মীয়, ক্রিকেট কর্তা, ভক্ত-সমর্থক কেপিজে হাসপাতালে সোমবারের দিনটা ছিল বেশ ঘটনাবহুল। মঙ্গলবারের দৃশ্যটটা অবশ্য একেবারেই ভিন্ন।
ডাক্তারদের পরামর্শে একদমই ভিড় জমতে দেওয়া হয়নি। অল্প করে খাচ্ছেন তামিম, একটু একটু করে হাঁটছেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে আবেগঘন এক পোস্ট দিয়েছেন তামিম। লিখেছেন, ‘হৃদয়ের স্পন্দনই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু এই স্পন্দন যে কোনো ঘোষণা না দিয়েই থেমে যেতে পারেÑ এই কথাটি আমরা বারবার ভুলে যাই। সোমবার দিনটি শুরু করার সময় কি আমি জানতাম, আমার সঙ্গে কী হতে যাচ্ছে? আল্লাহতা’আলার অশেষ রহমত আর সকলের দোয়ায় আমি ফিরে এসেছি।’