
হামজা ও সুনীল
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে আজ বাংলাদেশ-ভারত ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ। এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হামজা চৌধুরী এবং সুনীল ছেত্রী; যারা বাংলাদেশ ও ভারতের জার্সি গায়ে খেলবেন। অভিজ্ঞতায় এগিয়ে অবশ্যই সুনীল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেফিল্ডের হয়ে খেলা ২৭ বছর বয়সী ও ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা যেখানে আজ বাংলাদেশের হয়ে ডেব্যু করবেন, সেখানে ৪০ বছর বয়সী ও ফরোয়ার্ড সুনীল খেলেছেন ১৫২ ম্যাচ, করেছেন ৯৫ গোল। হামজার ওপর আজ দায়িত্ব পড়তে পারে সুনীলকে আটকানোর। ফলে আজকের ম্যাচে দুজনের মাঝে বেশ ভালোমতোই টক্কর হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
হামজা-সুনীলকে নিয়ে কথা বলেছেন দুই দলের কোচ, যারা আবার উভয়েই জাতিতে স্প্যানিশ। বাংলাদেশ কোচ জাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, ‘আমার মনে হয় হামজা এবং সুনীলের ফিরে আসা আরও বেশি উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে। এটা সত্যিই একটি খুব প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হতে চলেছে।
আমরা যদি আগামীকাল (আজ) জিততে পারি, তবে সেটা শুধু হামজার জন্য হবে না। হামজা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালোÑএতে কোনো সন্দেহ নেই। আমার মনে হয় সুনীলের ফিরে আসা ভারতকে শক্তিশালী করেছে। যে জিতুক না কেন, সেটা দলের জন্য হবে। ভারতের প্রতি অনেক সম্মান, একে অপরের প্রতি আমাদের অনেক সম্মান, মানোলো এবং তাদের স্টাফদের প্রতি অনেক সম্মান। তবে আবারও বলছি, সত্যিই মনে করি আমরা প্রস্তুত।’
ভারতের স্বদেশী কোচকে নিয়েও কথা বলেছেন ক্যাবরেরা, ‘সত্যি বলতে এটা দারুণ। তবে এখন পর্যন্ত, ভারতীয় কোচ মানোলো আমার চেয়ে অনেক দীর্ঘ ক্যারিয়ার রয়েছে। তিনি সর্বোচ্চ স্তরে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ভারতকে সঠিক পথে রেখেছেন। আমার দিক থেকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে সাড়ে তিন বছর... যা বেশ বড় অর্জন। তবে ভালো লাগছে। আমার মনে হয় আগামীকাল (আজ) সবার জন্য একটি খুব উপভোগ্য ম্যাচ হতে চলেছে।’
বাংলাদেশের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়াবেন ছেত্রী। এর আগে একাধিকবার সেটি করেছেন। তার ফেরা নিয়ে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিংগান বেশ আশাবাদী, ‘আমি সবসময়ই চাই ছেত্রী গোল করুক। আমরা তাকে ফিরে পেয়ে খুশি। তার যে মান তাতে, শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিটি দলের জন্যই সে হুমকি।’
ভারত কোচ মানোলো মারকুয়েজ বলেন, ‘হামজা অবশ্যই খুব ভালো খেলোয়াড়। প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিল, এখন চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে, কিন্তু তার দল আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলবে। আমি মনে করি, এই ধরনের খেলোয়াড়ের জাতীয় দলে থাকাটা শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়ান ফুটবলের জন্যও ভালো। এখানে অবশ্য ভালো-খারাপ দুই দিক রয়েছে।
ভালো দিক হলো- এই মানের খেলোয়াড়কে পেয়ে সতীর্থরা খুবই উজ্জীবিত থাকবে। অন্যদিকে এক সপ্তাহেরও কম সময়ের অনুশীলনে সে মাঠে কতটা প্রভাব রাখতে পারবে তা বলা কঠিন। তবে বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য সে দারুণ এক সংযোজন।’
এর আগে সুনীল ছেত্রী যতবারই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন, প্রায় ততবারই বিপক্ষ দলের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে। ফলে আজকের ম্যাচে তাকে রুখে দেওয়াটা বাংলাদেশী ডিফেন্ডারদের জন্য নিঃসন্দেহে বেশ চ্যালেঞ্জেরই হতে যাচ্ছে।