
১৭০ বলে অপরাজিত ৪০৪ রান করা ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের মুস্তাকিম হাওলাদার
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটেছে আজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বিভাগীয় পর্যায়ের খেলায় দলীয় ৭৭০ রান, ৬৯৯ রানের জুটি, ব্যক্তিগত অপরাজিত ৪০৪ রানের ইনিংস ও ৭৩৮ রানে জয়ের অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখা গেছে। ৫০ ওভারের ম্যাচটি হয়েছে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের মধ্যে।
দেশের যেকোনো পর্যায়ের স্বীকৃত ক্রিকেটে এমন ঘটনা আগে দেখা যায়নি। এমনকি বিশ্ব ক্রিকেটেই স্বীকৃত ৫০ ওভারের ম্যাচে এমন ঘটনা সামান্য। আগে ব্যাট করতে নেমে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৫০ ওভারে মাত্র ২ উইকেটে ৭৭০ রান করে। দলের ওপেনার মুস্তাকিম হাওলাদার অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ১৭০ বলে ৫০ চার, ২২ ছক্কায় অপরাজিত ৪০৪ রান করেন।
অবশ্য ঝড়োগতিতে শুরু করে পঞ্চম ওভারে টানা দুই উইকেট হারিয়েছে স্কুলটি, তখন দলীয় রান ৭১। এরপর মুস্তাকিমের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৬৯৯ রানের জুটি গড়েন সোয়াদ পারভেজ। সোয়াদ ১২৪ বলে ৩২ চার, ১৩ ছক্কায় ২৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। স্যামসন রয় ১০ ওভারে ১১৫ রান দিয়ে উইকেট দুটি লাভ করেন।
সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪ বোলার ১০০ রানের ওপরে খরচা করেছেন। এর মধ্যে আদৃত্য বণিক ১০ ওভারে দেন সর্বাধিক ১৬৪ রান। জবাবে সেন্ট গ্রেগরিজ ১১.৪ ওভারে মাত্র ৩২ রানে গুটিয়ে যায়। হাসান হৃদয় ৬ ওভারে ৩ মেডেনে ১১ রানে ৬টি ও সোয়াদ ৫.৪ ওভারে ১ মেডেনে ১৬ রানে ৪টি উইকেট নেন। ৭৩৮ রানের বিশাল জয় পায় ক্যামব্রিয়ান স্কুল।
অবিশ্বাস্য এই কীর্তির পর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসেন মুস্তাকিম ও সোয়াদ। এক প্রতিক্রিয়ায় অনুর্ধ্ব-১৮ বিভাগীয় পর্যায়ে খেলা মুস্তাকিম বলেছেন,‘’নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল আজকে কিছু একটা করার। ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ করার চেষ্টা করছিলাম। পরে দেখলাম যে ভালো লাগছে, তখন মনে হচ্ছিল পারব। আগে অনেক জায়গায়, অনেক টুর্নামেন্টে এমন বড় বড় ইনিংস খেলেছি। তাই বিশ্বাস ছিল যে পারব।’’
ক্রিকেটে মুস্তাকিমের আদর্শ বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চলমান তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট লিগে তেজকুনিপাড়া ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলছেন তিনি। বন্ধু সোয়াদের সঙ্গে ৬৯৯ রানের জুটি নিয়ে মুস্তাকিম বলেছেন,‘‘ও (সোয়াদ পারভেজ) আর আমি অনেক ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি। ও আমাকে অনেক সহায়তা করেছে। শেষদিকে তো ওভার কম ছিল। ও আমাকে স্ট্রাইক দিয়ে দিয়ে রানটা বেশি করাতে সাহায্য করেছিল। তাই ওকে ধন্যবাদ।"
মামুন/মেহেদী হাসান