
ছবিঃ সংগৃহীত
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আসন্ন জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি নাটকীয়ভাবে কমিয়ে দিয়েছে। এবারের আসরে খেলোয়াড়রা প্রতি ম্যাচে মাত্র ১০,০০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ৩৫ মার্কিন ডলার) ফি পাবেন, যা গত আসরের তুলনায় ৭৫% কম। গত আসরে খেলোয়াড়রা প্রতি ম্যাচে ৪০,০০০ পাকিস্তানি রুপি পেয়েছিলেন।
এটি ২০২২ সালের তুলনায় আরও বড় একটি হ্রাস, যখন প্রতি ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়দের ৬০,০০০ পাকিস্তানি রুপি দেওয়া হতো। এবারের আসরে দলের রিজার্ভ খেলোয়াড়রা প্রতি ম্যাচে মাত্র ৫,০০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ১৭.৫০ মার্কিন ডলার) পাবেন।
পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান মোহসিন নকভির নেতৃত্বে যেখানে অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ছে, সেখানে খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি কমানোর বিষয়টি তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গত বছর পিসিবি প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর নকভি বলেছিলেন যে, "পিসিবির ফান্ড লক করে রাখার জন্য নয়, বরং খেলোয়াড়দের উন্নতি এবং পাকিস্তান ক্রিকেটের সেবায় ব্যয় করা হবে।"
এরপর থেকে বোর্ড ব্যয়বহুল তবে প্রয়োজনীয় স্টেডিয়াম সংস্কার প্রকল্প হাতে নিয়েছে, বড় অঙ্কের চুক্তিতে বিদেশি কোচ নিয়োগ দিয়েছে (পরবর্তীতে ছেড়েও দিয়েছে), পাঁচজন পরামর্শককে মাসিক ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি বেতনে নিয়োগ করেছে এবং একটি একদিনের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে, যেখানে পুরস্কারের পরিমাণ দশগুণ বাড়ানো হয়েছে।
তবে এসব ব্যয়ের বিপরীতে খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি এভাবে কমিয়ে দেওয়ায় ক্রিকেট মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে।
সূত্রঃ ইএসপিএন ক্রিক ইনফো
ইমরান