
মিরপুরে সোমবার রূপগঞ্জের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শাইনপুকুরের ক্রিকেটাররা
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখল মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। রবিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ৪২২ রান তুলে ইতিহাস গড়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। প্রথমবার দলীয় চারশ’র ওপর স্কোর দেখেছিল লিস্টÑএ ক্রিকেট। সোমবার সেখানেই দুঃস্বপ্নের ঘোরে পড়ল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ২৫.৫ ওভারে গুটিয়ে গেল মাত্র ৬৯ রানে।
জবাবে ৯.৩ ওভারেই ৭৫ রান তুলে আকবর আলির লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ জিতল ১০ উইকেটে। ৭ ওভারে ১ মেডেন, মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম। বিকেএসপিতে স্পন্সর তামিম ইকবালের গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আর ধানম-ি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে এনামুল হক বিজয়ের গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স পেয়েছে ১৭৫ রানে জয়।
মিরপুরে শাইনপুকুর-লিজেন্ডস ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫০ ওভারও খেলা হয়নি। ৩৫.২ ওভারে রান হয়েছে ১৪৪, পড়েছে ১০ উইকেট। ৭০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রূপগঞ্জের লেগেছে ৫৭ বল। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম, সাইফ হাসান মিলে রূপগঞ্জকে ২৪৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের আয়েশী জয় এনে দিয়েছেন। তানজিদ তামিম ২০ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৫ রান।
আর সাইফ ৩৭ বলে ৩৯ রান করেছেন। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গুলশানের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ৪৯ ওভারে ২২২ রানে গুটিয়ে গেছে গুলশান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন লিটন দাস। ৬২ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৫ চার ও ১ ছক্কা। ২২৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯ রানেই ২ উইকেট হারায় অগ্রণী ব্যাংক। ইনিংসের প্রথম বলে আউট হন সাদমান ইসলাম।
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ইমরুল কায়েস ধরেন ড্রেসিংরুমের পথ। হাল ধরলেন ইমরানুজ্জামান ও অমিত হাসান। তৃতীয় উইকেটে ১৩৪ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ৩৩তম ওভারের চতুর্থ বলে ইমরানুজ্জামান রান আউটের শিকার হলে ভেঙে যায় জুটি। অগ্রণীর ওপেনার ইমরানুজ্জামান ৯৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৭৫ রান।
৯৪ বলে ৫ চারে ৬৩ রানে ফেরেন অমিত। দুই সেট ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে অগ্রণী ব্যাংকের স্কোর হয়ে যায় ৩৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান। পঞ্চম উইকেটে এরপর ৭৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন মার্শাল আইয়ুব ও তাইবুর রহমান।
এক ওভার হাতে রেখে অগ্রণীর ৬ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা ইমরানুজ্জামান। অপর ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া গাজী ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে করেছে ২৯৮ রান। জবাবে ৩৪.২ ওভারে ধানম-ি ১২৩ রানে গুটিয়ে যায়। গাজী গ্রুপের বিশাল জয়ে ম্যাচসেরা আবদুল গাফফার সাকলাইন (৮ রান দিয়ে ২ উইকেট)।