ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

গর্বিত হৃদয়ে ওয়ানডে ছাড়লেন স্মিথ

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:০০, ৬ মার্চ ২০২৫

গর্বিত হৃদয়ে ওয়ানডে ছাড়লেন স্মিথ

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন স্টিভেন স্মিথ

ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া কতটা অভিজাত, দেশটির ক্রিকেটাররা কতটা প্রফেশনাল (পেশাদার) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আরও একবার ফুটে উঠল সেটি। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউডসহ অন্তত পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ছাড়া এই আসরে সেভাবে ফেভারিট ছিল না অসিরা। তার ওপর পাকিস্তানে পা রাখার ঠিক আগে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে আসে স্টিভেন স্মিথের দল।

কিন্তু বড় আসরের বড় দল অদম্য অস্ট্রেলিয়া ঠিকই জ্বলে ওঠে শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে বিদায় করে জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। ভারপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন স্মিথও দায়িত্ব সামলেছেন সামনে থেকে। তবুও বয়স এবং পরবর্তী বিশ্বকাপে তরুণদের সুযোগ করে দিতে ওয়ানডেকে বিদায় জানালেন আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান।
দারুণ এক ভ্রমণ ছিল এটি, পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রতিটি মিনিট আমি উপভোগ করেছি। এত বেশি অসাধারণ সময় কেটেছে এবং দুর্দান্ত সব স্মৃতি আছে। চমৎকার সব সতীর্থকে সঙ্গী করে দুটি বিশ্বকাপ জয় করা ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। ২০২৭ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার উপযুক্ত সুযোগ এখনই। কাজেই আমার মনে হয়েছে, জায়গা করে দেওয়ার সঠিক সময় এসেছে। বলেন স্মিথ।

১৭০ ওয়ানডে খেলে রান করেছেন ৫৮০০। সেঞ্চুরি ১২টি, ফিফটি ৩৫টি। গড় ৪৩.২৮, স্ট্রাইক রেট প্রায় ৮৭। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ১৬৪ রানের। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে মাত্র পাঁচজনের। তাদের মধ্যে স্মিথের চেয়ে বেশি ক্যারিয়ার গড় কেবল ডেভিড ওয়ার্নারের (৪৫.৩০)। বয়স ৩৫। ফর্মও ততটা খারাপ নয়। চাইলে ২০২৭ বিশ্বকাপের লড়াইয়ে থাকতে পারতেন হয়ত।

তবে নিজেকেই তিনি সেখানে দেখছেন না। বরং পথ তৈরি করে দিতে চান তরুণ প্রজন্মকে। ২০১০ সালে মেলেবোর্নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতে পথচলা শুরু। শুরুতে ছিলেন ফস্পিনিং-অলরাউন্ডার। ক্রমশ নিজের জাত চিনিয়ে হয়ে ওঠেন পরাশক্তিদের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা।  
প্রতিক্রিয়ায় যেমন বলেছেন স্মিথ, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গৌরবময় অর্জন নিঃসন্দেহে দুটি বিশ্বকাপ জয়। দেশের মাঠে ২০১৫ বিশ্বকাপ জয়ে তার বড় ভূমিকাও ছিল। সাত ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটিতে ৪০২ রান করেছিলেন তিনি ৬৭ গড় ও ৯১.৫৭ স্ট্রাইক রেটে। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৯৩ বলে ১০৫ রানের ইনিংস।

ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ফিফটিতে জয়সূচক বাউন্ডারি এসেছিল তার ব্যাট থেকেই। ইংল্যান্ডে ২০১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের গর্বিত সদস্য স্মিথ টি২০তে নেই অনেকদিন। ওয়ানডে ছাড়লেও খেলবেন প্রিয় ফরম্যাট টেস্টে।

×