
বুধবার দেশ ছাড়ার আগে হযরত শাহজালাল (রা) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাদ উদ্দিনের সেলফিতে বাংলাদেশের ফুটবলাররা
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশের গ্রুপ প্রতিপক্ষ ভারত, হংকং ও সিঙ্গাপুর। চূড়ান্তপর্বে নাম লেখানোর জন্য লাল-সমবুজ বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচ ভারতের বিপক্ষেই। দুই দেশের প্রথম ম্যাচ আগামী ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে, ফিরতি ম্যাচ ঢাকায়, ১৮ নভেম্বর।
হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৬ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জাভিয়ের ক্যাবরেরা চূড়ান্ত পর্বে চোখ রেখে তার শিষ্যদের (প্রাথমিকভাবে ডাকা ৩০ ফুটবলার) নিয়ে অনুশীলনপর্ব শুরু করেছিলেন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। বুধবার তিনি দলকে নিয়ে বিমানযোগে রওনা হন সৌদি আরবে। দেশটির তায়েফে প্রায় দুই সপ্তাহ কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবেন জামাল ভুইয়ারা। সেখান থেকে ১৭ মার্চ দেশে ফিরে দুই দিন অনুশীলন করে উড়াল দেবে শিলংয়ে।
বুধবার বাংলাদেশ দল সৌদি গেলেও ভিসা জটিলতায় দলের ডিফেন্ডার রহমত মিয়া দলের সঙ্গী হতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, বিমান কর্তৃপক্ষ রহমতের জন্য বোর্ডিংয়ের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। ফেডারেশন সকাল থেকে সৌদিতে ভিসার জন্য যোগাযোগ করছিল।
বোর্ডিং ও অন্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে যখন ফ্লাইটে ওঠার অপেক্ষায়। তখন রহমতের ভিসা আসে। সেই সময় আসলে বোর্ডিং করানো সম্ভব হয়নি। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার ২/১ দিনের মধ্যেই রহমতকে সৌদি পাঠাবেন বলে জানা গেছে। সৌদি ফেডারেশনই বিগত সময় বাংলাদেশ দলের ভিসা করে দিয়েছে। এবারও তাই। বাফুফে এই বিষয়ে প্রতিনিয়ত তাগিদ দিলেও এটি সৌদি ফেডারেশনের হাতে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার হামজা চৌধুরী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াডে আছেন। শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই ফুটবলার ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি সিলেট এসে পৌঁছাবেন ১৭ মার্চ সকালে। তার পৈতৃক নিবাস হবিগঞ্জে একদিন কাটিয়ে পরদিন ঢাকায় বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন (১৯ মার্চ)। বাংলাদেশে হামজার ফেরা নিয়ে আছে বাফুফের নানা পরিকল্পনা। তাকে বরণ করার পরিকল্পনাও আছে ফেডারেশনের।
ভারতে যাওয়ার আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ইতালিয়ান লিগে খেলা ফাহমেদুল ইসলামও। তিনি ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। সৌদি রওনা হওয়ায় আগে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল কোচ ও ম্যানেজারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এই সময় দলের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিনি ভারত ম্যাচ নিয়ে দলকে উৎসাহ প্রদান করেন।
গত বছরের মতো এই বছরও একটি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সুদানের সঙ্গে। বাংলাদেশ দলের কোচ ক্যাবরেরা বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় চতুর্থ দিনের অনুশীলনের ফাঁকে (সৌদি যাওয়ার আগে) বলেন, প্রায় পাকাপাকি হয়ে গেছে আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার বিষয়টি। খুব সম্ভবত সুদানের সঙ্গে একটা ম্যাচ খেলব। তবে আমি আরও দুটি ম্যাচ খেলতে চাই।
ইতোমধ্যে একটা ম্যাচ খেলার বন্দোবস্ত হয়েছে। আশা করি আরও দুটি হবে। সুদানের সঙ্গে একটা বেশি ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়। আমি যদি ভুল না জেনে থাকি, তাহলে ওরা ১০ মার্চে চলে যাবে সৌদি থেকে, যেহেতু তারা ১৭ তারিখ সেনেগালের সঙ্গে খেলবে। আমাদের সঙ্গে খেলবে ৮ মার্চ।