
দীর্ঘ প্রায় তিন দশক অর্থাৎ ২৯ বছর পর আইসিসির কোনো ইভেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। কিন্তু ইমরান খান-ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনুসদের দেশের দুর্ভাগ্য, স্বাগতিক হওয়ার পরও তারা আয়োজন করতে পারছেনা চলমান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ।
কারণ একটাই, ফাইনালে উঠে গেছে ভারত। আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল, ভারত ফাইনালে গেলে শিরোপা লড়াই হবে দুবাইয়ে। আর তাইতো এটা নিয়ে এখন ভীষণ মন খারাপ পাকিস্তানের। এবার হাইব্রিড মডেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হয় দুবাইয়ে। কাগজে-কলমে টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারতের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে তাদেরই উড়ে আসতে হয়েছিল মরুর শহর দুবাইয়ে। যে কারণে অনেকের চোখে ভারতই এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রকৃত আয়োজকের মর্যাদা ভোগ করছে। এ ছাড়া একই মাঠে টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ খেলা ‘বাড়তি সুবিধা’ বলে মনে করছেন প্রতিপক্ষ দলগুলোর খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররাও।
ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টে আগেই দর্শক হয়েছে পাকিস্তান। এবার নিজেদের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল দেখা থেকেও বঞ্চিত হতে হচ্ছে দেশটির দর্শকদের। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারত ফাইনাল নিশ্চিত করায় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের পরিবর্তে এখন শিরোপা লড়াই হবে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আগামী রবিবারের (৯ মার্চ) ফাইনাল মহারণে ভারতের প্রতিপক্ষ কে হবে সেটি নির্ধারণ হবে এই মুহূর্তে (৫ মার্চ) চলমান নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফলাফলের পর।
এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যু নিয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বন্দ্বে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা নিয়েই ঘোর শঙ্কা ছিল। অনেক জলঘোলার পর অবশেষে হাইব্রিড মডেলে মাঠে গড়িয়েছে আট জাতির এই আসর।
সাজিদ