
ছবিঃ সংগৃহীত
ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের দিকে বিশেষ নজর ছিল আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের। কাগজে-কলমে আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকলেও, সেটি নির্ভর করছিল ইংল্যান্ডের বিশাল ব্যবধানে জয়ের ওপর। তবে বাস্তবে তেমন কিছু ঘটেনি। একপেশে ম্যাচে ইংল্যান্ড ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে গেলে, দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৫ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে সহজ জয় তুলে নেয়।
এই হারের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো টুর্নামেন্টের সমাপ্তি ঘটে। অধিনায়ক জস বাটলারের শেষ ম্যাচেও দলকে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়। পুরো ইনিংসে ব্যাট হাতে কেউই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি, কেবল জো রুট করেন ৩৭ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ৭২ ও হেনরিক ক্লাসেন ৬৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে সহজ জয় এনে দেন। এখন দেখার বিষয়, সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড না ভারত হয় এবং তাদের যাত্রা কতদূর গড়ায়।
কেন বাংলাদেশের নজর ছিল এই ম্যাচে?
ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ফলাফল বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এটি সরাসরি বাংলাদেশের প্রাইজমানির অঙ্ক নির্ধারণ করেছে। ম্যাচের আগে বাংলাদেশ পয়েন্ট টেবিলে সপ্তম স্থানে ছিল এবং সে অনুযায়ী তাদের প্রাইজমানি পাওয়ার কথা ছিল প্রায় ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
কিন্তু ইংল্যান্ডের বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশকে ষষ্ঠ স্থানে তুলে এনেছে, যার ফলে বাংলাদেশ এখন প্রাইজমানি পাচ্ছে ৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ইংল্যান্ডের হারের কারণে বাংলাদেশ প্রায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বেশি পাবে।
এছাড়া, অংশগ্রহণ ফি বাবদ বাংলাদেশ পাচ্ছে আরও ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা যোগ করে মোট ৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকাতে পৌঁছেছে।
এই অতিরিক্ত প্রাপ্তি দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কতটা কাজে লাগবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে নিশ্চিতভাবেই, ইংল্যান্ডের হারের ফলে বাংলাদেশ বড় আর্থিক সুবিধা পেয়েছে, যা ভবিষ্যতে দলকে সহায়তা করতে পারে।
ইমরান