শেখ মোরসালিন
কথায় আছে, প্রতিভাবানরা নাকি খেয়ালি আর উচ্ছৃঙ্খল হয়। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার শেখ মোরসালিন এমনই এক উদাহরণ। বছর দুয়েক আগে ‘মদ-কা-ে’ ধরা পড়ে শাস্তি পেয়েছিলেন। এবার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে আরও বড় ধরনের অপরাধের দায়ে জেলের ঘানি টানায়। কেননা যৌতুকের অভিযোগে এই ফরোয়ার্ডের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে!
বুধবার ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার স্ত্রী পরিচয়ে সেজুতি বিনতে সোহেল বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মোরসালিনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ইশফাকুর রহমান গালিব এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সেজুতি বিনতে সোহেল বলেন, ‘আমি সংসার করতে চাই। আদালতে যৌতুকের মামলা করেছি। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ২৯ নভেম্বর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেজুতি বিনতে সোহেলের ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মোরসালিন তার কাছে গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গত ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে সাভারে তার পিতার বাসায় যান মোরসালিন।
তখন তার জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে গেলে বাদিনীকে বলেন, ‘আমি খাবার খেতে আসিনি, যৌতুকের ২০ লাখ টাকা নিতে এসেছি।’ এ সময় বাদিনীর মা-বাবা তাকে অনুরোধ করে বলেন, ‘২০ লাখ টাকা দেওয়ার কোনো সামর্থ্য নেই। পরে মোরসালিন তাদের গালাগালি ও হুমকি দিতে থাকেন।’
মামলার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের স্ট্রাইকার মোরসালিন বাংলা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার এই বিষয়ে এখনো কিছু জানা নেই। মামলা হলে আইনিভাবে লড়ব। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।’
