ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

‘নিউজিল্যান্ডকে হারানো অসম্ভব নয়’

শাকিল আহমেদ মিরাজ

প্রকাশিত: ০০:০৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘নিউজিল্যান্ডকে হারানো অসম্ভব নয়’

.

ত্রিদেশীয় সিরিজের লিগ পর্বের পর ফাইনাল হয়ে করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচ- ক্রমাগত পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে উড়ছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষেও সে ধারা অব্যাহত রেখে সেমির পথে এগিয়ে যেতে চায় মিচেল স্যান্টনারের দল। অন্যদিকে দুবাইয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভারতের কাছে বড় হারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে টাইগাররা কি পারবে ঘুরে দাঁড়াতে? সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলছেন, কাজটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। সফল হতে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দল সাঁজাতে হবে।

একাদশে দুই পেসারের সঙ্গে তিন স্পিনার দেখতে চান তিনি। গত বছর এই রাওয়ালপিন্ডিতেই দুই টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে হারিয়ে  ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। জনকণ্ঠকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে সেই সিরিজের আগে উত্তরসূরিদের নিয়ে পাইলট ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। এবার কিউইদের বিপক্ষেও বুঁক চিতিয়ে লড়াই চান। 
হ্যাঁ নিউজিল্যান্ড ভালো ছন্দে আছে। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দাপুটে শুরু পেয়েছে। আইসিসির ইভেন্টে সবসময় রেকর্ড ভালো। খুবই ভারসাম্যপূর্ণ দল। তবে ওদের হারানো অসম্ভব নয়। এজন্য আমাদেরকে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। এই পিন্ডিতেই আমরা পাকিস্তানকে টানা দুই টেস্টে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। সেটা ছিল লাল বলে। সাদা বলে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিয়ে গেম প্ল্যান এবং একাদশ সাজাতে হবে। বলেন পাইলট। দুই পেসার এবং তিন স্পিনারের একাদশ চান ২০০২ বাংলাদেশের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অধিনায়ক, দুবাইয়ে ভারত দুই পেসার আর তিন স্পিনারের দল সাজালেও আমরা তিন পেসার নিয়ে নেমেছিলাম। ওদের আবার তৃতীয় পেসার হিসেবে পান্ডিয়া ছিল।

আমি আসলে তৃতীয় স্পিনারের অভাব বোধ করছিলাম। নিউজিল্যান্ড যতই ছন্দে থাক, উপমহাদেশের কন্ডিশনে উইকেট কিছুটা স্পিন ফেভার করলে ওরা বিপদে পড়ে যাবে। ওরা যদি আগে ব্যাটিং করে, তবুও ইনিংস যত গড়াবে পিন্ডির উইকেট কিছুটা ড্রাই হবে। মিরাজ ও রিশাদের সঙ্গে বাঁহাতি নাসুম থাকলে আমাদের বোলিং বিভাগে বৈচিত্র আসবে। পেস আক্রমণে তাসকিনের সঙ্গে নাহিদ রানার গতি কাজে আসতে পারে। তবে পিন্ডির কন্ডিশনে মুস্তাফিজ কার্যকর হবেন কি না, উইকেট দেখেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 
পাশাপাশি ব্যাটসম্যানদেরই চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পাইলট। যেমনটা তিনি ভারত ম্যাচের আগে বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রতিটি ম্যাচে রান হচ্ছে, বিশেষ করে পাকিস্তানের ভেন্যুতে। প্রতিটি ম্যাচেই সেঞ্চুরি হচ্ছে। তিনশ’ সাড়ে তিনশ’ রান চেজ করে ফেলছে দলগুলো। সুতরাং আগে কিংবা পরে, ব্যাটারদের সেরাটা দিয়ে বোর্ডে বড় স্কোর এনে দিতে হবে। ভারতের বোলাররা যে আনপ্লেয়বল ছিল না, তাওহিদ হৃদয় সেঞ্চুরিতেই সেটি স্পষ্ট। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে উইকেট থ্রো করে আসার কোনো অর্থ হয় না। টপ অর্ডারে শান্ত-সৌম্যদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। মাহমুদুল্লাহ খেললে মিডল অর্ডারে শক্তি বাড়বে। সেক্ষেত্রে মিরাজকে কিভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। একটা দল হয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে নিউজিল্যান্ডকে হারানো সম্ভব বলেই বিশ্বাস পাইলটের। দুবাইয়ে যেভাবে ক্যাচ মিস হয়েছে, সেদিকেও নজর দিতে বলছেন। একটা সময় ওয়ানডে ফরম্যাটে দুর্দান্ত সব সাফল্যে বিশ্ব ক্রিকেটের সমীহ আদায় করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতে ২০২৩ বিশ্বকাপের ঠিক আগে সাকিব-তামিম সেই দ্বন্দ্বের পর থেকেই ছন্দপতন। ক্রমশ যেটা হতাশায় রূপ নিয়েছে। কোনোমতে র‌্যাংকিংয়ের সেরা আটে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। 
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজে ধবলধোলাই। আট দলের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে পা-রেখে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। গ্রুপ অব ডেথ ‘এ’ গ্রুপে ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং আয়োজক পাকিস্তান। পিন্ডিতেই বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।

×