ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

তাওহিদের পর গিলের সেঞ্চুরিতে ভারত হারাল বাংলাদেশকে

প্রকাশিত: ২৩:০০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২৩:০৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তাওহিদের পর গিলের সেঞ্চুরিতে ভারত হারাল বাংলাদেশকে

ছবি: সংগৃহীত।

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হার দিয়ে মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। আজ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা।

প্রথমে ব্যাট করে তাওহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও ৪৯.৪ ওভারে মাত্র ২২৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে শুভমান গিলের হার না মানা শতকে ভর করে ৪৬.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে ভারত।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামির আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ৩৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা।

পরে ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। ইনিংসের শুরুতে ০ রানে ও ২৩ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান তারা। এরপর বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েন।

পূর্বে এই রেকর্ড ছিল জাকের আলী ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের, যারা গত বছর ডিসেম্বরে সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৫০ রানের জুটি গড়েছিলেন।

জাকের আলী ১১৪ বলে ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ক্যারিয়ারসেরা ৬৮ রানে আউট হন। অন্যদিকে, তাওহিদ হৃদয় ১১৮ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০০ রান করেন। তার বিদায়ের পরই বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২২৮ রানে।

ভারতের হয়ে মোহাম্মদ শামি ৫ উইকেট শিকার করেন, আর হর্ষিত রানা পান ৩টি উইকেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। প্রথম পাওয়ার প্লেতে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান তোলে তারা।

তাসকিন আহমেদের পেসে ৩৬ বলে ৭টি চারে ৪১ রানে বিদায় নেন রোহিত। এরপর গিল ও বিরাট কোহলি মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ রান যোগ করেন।

বাংলাদেশকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। তার বলে কোহলি ৩৮ বলে ১ চারে ২২ রানে এবং অক্ষর প্যাটেল ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। মাঝখানে মুস্তাফিজুর রহমান আউট করেন ১৫ রান করা শ্রেয়াস আইয়ারকে।

১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত সামান্য চাপে পড়লেও, গিল ও লোকেশ রাহুলের ৮৭ রানের অপরাজিত জুটি সহজ জয়ের পথ তৈরি করে।

শুভমান গিল ১২৯ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। আর লোকেশ রাহুল ৪৭ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন।

বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ হোসেন ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাওহিদ হৃদয়ের সেঞ্চুরি ও বোলারদের চেষ্টা জয় এনে দিতে পারেনি টাইগারদের।

মামুন

×