ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

একুশে পদকপ্রাপ্তির পর যা বললেন নারী ফুটলাররা .....

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

একুশে পদকপ্রাপ্তির পর যা বললেন নারী ফুটলাররা .....

ছবিঃ ২০২৪ সাফজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কোন ক্রীড়া দল একুশে পদক পায়নি। সংস্থা হিসেবে ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে স্বাধীনতা পদকের জন্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অনেকবারই আবেদন করেছিল, কিন্তু তারা এখনো পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়নি।

তবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল নিঃসন্দেহে ‘ভাগ্যবতী।’ কেননা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বীকৃতি একুশে পদক পেয়েছে তারা। এবারই প্রথম ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই পদক দেওয়া হলো।

২০২৪ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দল আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই পুরস্কার গ্রহণ করেছে। কোন দলের একুশে পদক পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের পদকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য। সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন স্যার নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ ম্যাডাম, বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়াল স্যারকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা ফুটবল উন্নয়নে কাজ করছেন।’
৫২ সালে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা। তিনি বলেন,‘আজ আমরা এই পদক পেয়ে বীর শহীদদের স্মরণ করছি।

আমরা গৌরাবিন্বত ও অনুপ্রাণিত একুশে পদক পেয়ে। এটা ক্রীড়াঙ্গনের জন্য মর্যাদার তেমনি নারী অঙ্গনের জন্য অনন্য উচ্চতার।’ সবার কাছে আরো সহায়তা-দোয়া প্রত্যাশা করে বলেন,‘এই পদক সাবিনাদের জন্য দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনারা আমাদের দোয়া করবেন। সব সময় সাহস জুগিয়ে এসেছেন।’
একুশে পদক জয়ের উচ্ছ্বাস একবাক্যে প্রকাশ করেছেন সাফজয়ী দলের সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। পদকের ইমোজি ব্যবহার করে তিনি লিখেছেন, “একুশে পদক ২০২৫।”
একুশে পদকপ্রাপ্তির আনন্দ ২০২৪ সালের আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা প্রকাশ করেছেন, “সবচেয়ে বড় অর্জন। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ”- এই বার্তা লিখে।
টানা দুইবারের সাফ জয়ী ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার একুশে পদক জয়ের খুশি প্রকাশ করেছেন, স্রেফ একবাক্যে, “একুশে পদক ২০২৫।”
সাফজয়ী ফরোয়ার্ড মাতসুশিমা সুমাইয়া “একুশে পদক ২০২৫” লিখে পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
সাফে ভারতের বিপক্ষে দৃষ্টিনন্দন গোল করা ডিফেন্ডার আফঈদা খন্দকার একুশে পদক পাওয়ার আনন্দে লিখেছেন, “রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার। একুশে পদক ২০২৫। অসংখ্য ধন্যবাদ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়সহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে।”
একুশে পদকজয়ের উচ্ছ্বাস তরুণ ফরোয়ার্ড শাহেদা আক্তার রিপা প্রকাশ করেছেন সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ‘আলহামদুলিল্লাহ’-লিখে।
প্রথমবার সাফ মিশনে গিয়েই জিতেছেন শিরোপা। পেলেন একুশে পদক। আইরিন খাতুন এই প্রাপ্তি উৎসর্গ করেছেন তার জেলা নওগাঁবাসীর উদ্দেশে। তিনি লিখেছেন, “একুশে পদক-২০২৫। পদকটি পুরো নওগাঁবাসীকে আমি উৎসর্গ করলাম।”
দুইবারের সাফজয়ী ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার সিনিয়র দারুণ অর্জনের আনন্দে লিখেছেন, “আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত।”
সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাফের দুইবারের সেরা গোলরক্ষক রুপনা চাকমা লিখেছেন, “একুশে পদক ২০২৫। সবকিছুর জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।”
একুশে পদকজয়ের আনন্দে ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন গর্বভরে লিখেছেন, “একুশে পদক ২০২৫-এ সম্মানিত করা হয়েছে সাফজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলকে। আমরা গর্বিত এই পদকে ভূষিত হয়ে।”
ছোট বার্তায় একুশে পদকজয়ের আনন্দ প্রকাশ করেছেন দুইবারের সাফজয়ী ডিফেন্ডার নিলুফার ইয়াসমিন নীলা। তিনি লিখেছেন, “একুশে পদক ২০২৫। আলহামদুলিল্লাহ।”
 

রুমেল /জাফরান

×