ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

লাথাম-ইয়াংয়ের সেঞ্চুরিতে ঝলমলে নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৩০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

লাথাম-ইয়াংয়ের সেঞ্চুরিতে ঝলমলে নিউজিল্যান্ড

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের দুই সেঞ্চুরিয়ান টম লাথাম ও উইল ইয়াংয়ের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা হলো দারুণ। অন্তত ব্যাটিংয়ে। বুধবার করাচিতে উদ্বোধনী ম্যাচে আয়োজক পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩২০ রানের ‘চ্যালেঞ্জিং’ স্কোর গড়ে কিউইরা। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার উইল ইয়াং (১১৩ বলে ১০৭) ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটার টম লাথাম (১০৪ বলে অপরাজিত ১১৮)।

চলতি আসরে প্রতিপক্ষের প্রথম বল মোকাবিলা করে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ইয়াংই প্রথম তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে পা-রাখেন, হাঁকান ১২ চার ও একটি ছক্কা। ২১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে  কোন ‘নিউজিল্যান্ড ওপেনারের’ প্রথম সেঞ্চুরি এটি। অবশ্য ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে সর্বশেষ এই স্বাদ পেয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। ২০১৭ সালে এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঠিক ১০০ রান করেন তিনি। বড় তারকা এদিন আউট হয়েছেন ১ রানে! 
২৯ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে আইসিসির ইভেন্ট। উৎসবমুখর পরিবেশে করাচিতে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে ডেভন কনওয়ে ফেরার চার বল পরই আউট হন উইলিয়ামসন। পাকিস্তানকে এরপর ভুগিয়েছে ইয়াং-কনওয়ে জুটি। ১২৬ বলে ১১৮ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডের এগিয়ে যাওয়ার ভিত গড়ে দেয়।

ইয়াং অবশ্য বিদেশের মাটিতে নিজের প্রথম এবং ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরির পর নাসিম শাহর শিকারে পরিণত হন। পরের পথটুকুতে এগিয়ে নেন অভিজ্ঞ লাথাম। ইয়াংয়ের পর সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি, নিউজিল্যান্ডের রান নিয়ে যান তিনশ ছাড়িয়ে। সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ১০৪ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন লাথাম। ওয়ানডেতে এটি তার অষ্টম সেঞ্চুরি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৮৪ দিন ও ৭৯ ইনিংস পর এই স্বাদ পেলেন তিনি। ৭৪ বলে তার সঙ্গে গ্লেন ফিলিপসের ১২৫ রানের জুটি ভাঙে ইনিংস শেষের দুই বল আগে। ৩৯ বলে ৬১ রান করেন ফিলিপস।  পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফ। আফ্রিদির খরচ ৬৩ রান হলেও হারিসের বলে বেরিয়েছে ৮৩ রান।  

ম্যাচের দ্বিতীয় বলে রানের খাতা খোলেন ইয়াং। এরপর বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইনিংস বড় করতে থাকেন তিনি। পরপর দুই ওভারে ডেভন কনওয়ে ও উইলিয়ামসনকে হারিয়ে চাপে পড়া দলের এক প্রান্ত আগলে রাখেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানেই কদিন আগে শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন ম্যাচে যথাক্রমে ৪, ১৯ ও ৫ রান করেন ইয়াং। পরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করতে পারেন ১৪ রান। ব্যর্থতার জাল ছিঁড়ে এদিন পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তিনি ৫৬ বলে। ফিফটির পর আরেকটু দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন তিনি। পরের পঞ্চাশ রান তুলতে তার লাগে ৫১ বল। আবরার আহমেদের বলে সিঙ্গেল নিয়ে কাক্সিক্ষত তিন অঙ্কে ১০৭ বলে পা রাখেন ইয়াং। ওয়ানডেতে এটি ইয়াংয়ের চতুর্থ সেঞ্চুরি।

এক বছরেরও বেশি সময় পর এই স্বাদ পেলেন তিনি। সবশেষ শতক করেছিলেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০৫। এই সংস্করণে ইয়াংয়ের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ১২০ রানের, ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এবার সেটা পেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল তার সামনে। কিন্তু নাসিম শাহর বলে বদলি ফিল্ডার ফাহিম আশরাফের দারুণ ক্যাচে বাজে তার বিদায়ঘণ্টা। ভাঙে টম ল্যাথামের সঙ্গে তার দারুণ এক জুটি।

×