
আজ সমাপনী দিনে পুরুষদের ৪ গুণিতক ৪মিটার রিলেতে স্বর্ণজয়ী বাংলাদেশ নৌবাহিনী দলের উল্লাস০০
বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় এ্যাথলেটিক্সের ৪৮তম আসরের পর্দা নামলো আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)। জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার তৃতীয় ও শেষ দিনে ২টিসহ ৬টি নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়। তিনদিনে অনুষ্ঠিত হয় মোট ৪০টি ইভেন্ট। সেরা এ্যাথলেট হন নাজমুল হোসেন রনি ও বর্ষা খাতুন। দুজনেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। সেরা কোচ/সংগঠক হন ফরিদ খান চৌধুরী।
আর পদক তালিকায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর প্রতিযোগিতার সেরা দলের আসনটি পেয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তারা লাভ করেছে ২১ স্বর্ণ, ১৭ রৌপ্য, ১২ ব্রোঞ্জসহ মোট ৫০টি পদক। ১৯ স্বর্ণ, ১৯ রৌপ্য এবং ১৯ ব্রোঞ্জসহ মোট ৫৭টি পদক রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ৩ রৌপ্য ও সমসংখ্যক ব্রোঞ্জসহ মোট ৬টি পদক পেয়েছে বিকেএসপি। প্রতিযোগিতার প্রথম দুই দিনে সেনাবাহিনীই পদক তালিকার শীর্ষে ছিল। কিন্তু সমাপনী দিনে নৌবাহিনী বাজিমাত করে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে।
বাংলাদেশ এ্যাথলেট এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সেরা খেলোয়াড় নির্ধারণ করা হয়। সেরা খেলোয়াড় (পুরুষ) পোলভল্ট ইভেন্টে ৩২ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করা সেনাবাহিনীর নাজমুল হাসান রনি এবং সেরা খেলোয়াড় (নারী) পোলভল্ট ইভেন্টে রেকর্ডধারী সেনাবাহিনীর বর্ষা খাতুন। বাংলাদেশ জাজেস এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সেরা কোচ ও সংগঠক একই ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাবেক এ্যাথলেট ও জাতীয় কোচ ফরিদ খান চৌধুরীকে মনোনীত করা হয়।
সমাপনী দিনে ২টি নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়। পোলভল্ট (পুরুষ) ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন সেনাবাহিনীর সৌরভ মিয়া (৪.৫০ মিটার)। পূর্বে এই ইভেন্টে ২০০৬ সালে নৌবাহিনীর হুমায়ুন কবির রেকর্ড ছিল (৪.৩৫ মিটার)। ৪ গুণিতক ৪০০ মিটার রিলে (নারী) ইভেন্টে ৩১ বছর পরে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার, সাবিহা আল সোহা, নুসরাত জাহান রুনা ও নাথেরা খাতুন। তারা সময় নেন ৩ মিনিট ৫১.৬২ সেকেন্ড (ই)। পূর্বে এই ইভেন্টে ১৯৯৩ সালে বিজেএমসির নাছিমা, সুবনা, মনিয়া ও সুমিতার রেকর্ড ছিল (৩ মিনিট ৫৫.৫৫ সে.)।
প্রতিযোগিতার সমাপনী ঘোষনা করেন বাংলাদেশ এ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী।
রুমেল/আফরোজা