
পাকিস্তানকে হারিয়ে দীর্ঘ দুই দশক পর নিউজিল্যান্ডের ট্রফি জয়ের আনন্দ
আগামী বুধবার শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লড়াই। তার আগে শুক্রবার করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড। আর এই শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। সেই সঙ্গে ২০০৫ সালের পর এই প্রথম একদিনের ক্রিকেটে বহুজাতিক কোনো টুর্নামেন্ট জিতল নিউজিল্যান্ড।
ফাইনালে এদিন মিচেল স্যান্টনারের দল ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাবর-রিজওয়ানদের। এর মাধ্যমে সিরিজে তিন ম্যাচের (লিগ পর্ব ও ফাইনাল) সবই জিতল নিউজিল্যান্ড। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে প্রস্তুতি পর্বটাও দারুণভাবে সেরে নিল ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
করাচিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১২ ওভারে দলীয় ৫৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। ফখর জামান ১০, বাবর আজম ২৯ ও সৌদ শাকিল ৮ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে নিউজিল্যান্ড বোলারদের শক্ত হাতে সামাল দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচের দুই সেঞ্চুরিয়ান পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আগা।
আগের ম্যাচে ২২৯ বলে ২৬০ রানের রেকর্ড জুটি গড়া রিজওয়ান-সালমান এবার ১২০ বলে ৮৮ রান যোগ করেন। তবে দু’জনের কেউই হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করতে পারেননি। রিজওয়ান ৪৬ ও সালমান ৪৫ রানে থামেন।
দলীয় ১৬১ রানের মধ্যে রিজওয়ান-সালমান আউট হলে পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়। তারপরও তায়েব তাহিরের ৩৮, ফাহিম আশরাফের ২২ ও নাসিম শাহর ১৯ রানের সুবাদে ৪৯ দশমিক ৩ ওভারে ২৪২ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় স্বাগতিক দল। নিউজিল্যান্ডের পেসার উইল ও’রুর্ক ৪৩ রানে ৪ উইকেট নেন।
পাকিদের ছুড়ে দেওয়া ২৪৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় ওভারেই নিউজিল্যান্ড ওপেনার উইল ইয়ং ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৬ বলে ৭১ রানের জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরান আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে উইলিয়ামসন আউট হলে ভাঙে জুটি। হাফ সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৮ রানে থামেন কনওয়ে।
দলীয় ১০৮ রানে কনওয়ে ফেরার পর চতুর্থ উইকেটে ৮৮ বলে ৮৭ রানের জুটিতে নিউজিল্যান্ডের জয়ের পথ তৈরি করেন ড্যারিল মিচেল ও টম লাথাম। ৬টি চারে ৫৭ রানে বিদায় নেন মিচেল। দলের জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকতে আউট হন লাথাম। দু’বার জীবন পেয়ে ৫টি চারে ৫৬ রান করেন তিনি। এরপর গ্লেন ফিলিপস ২০ ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ২ রানে অপরাজিত থেকে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন। পাকিস্তানের নাসিম ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন। ফাইনাল সেরা হন নিউজিল্যান্ডের ও’রুর্ক, টুর্নামেন্ট সেরা হন পাকিস্তানের সালমান।