![সেল্টিকের অজেয় যাত্রা থামাল বায়ার্ন সেল্টিকের অজেয় যাত্রা থামাল বায়ার্ন](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/53-2502131850.jpg)
.
নিজেদের ঘরের মাঠে উড়ছিল সেল্টিক। সর্বশেষ ৩৩ ম্যাচে নিজেদের সমর্থকদের সামনে পরাজয় দেখেনি স্কটল্যান্ডের ক্লাবটি। অবশেষে সেল্টিককে সেই ভুলে যাওয়া হারের স্বাদ উপহার দিল বায়ার্ন মিউনিখ। বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে প্লে-অফের প্রথম লেগে জার্মান জায়ান্টরা ২-১ গোলে হারাল সেল্টিককে। সেইসঙ্গে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর ঘরের মাঠে প্রথম হার দেখল ব্রেন্ডন রজার্সের সেল্টিক। বায়ার্নের জয়ের দিনে হেরে গেছে এসি মিলান, মোনাকো এবং আটালান্টা। হল্যান্ডের ক্লাব ফেইনুর্ড ১-০ গোলে পরাজিত করে এসি মিলানকে। বেনফিকাও একই ব্যবধানে হারের স্বাদ উপহার দেয় ফরাসি ক্লাব মোনাকোকে। দিনের আরেক ম্যাচে ক্লাব ব্রুগে ২-১ ব্যবধানে আটালান্টাকে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট কাটার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাটে এবার শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে জায়ান্ট ক্লাবগুলো। যার মধ্যে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, পিএসজি এবং বায়ার্ন মিউনিখের মতো দলগুলো। মঙ্গলবারই মাঠে নামে এই চার ক্লাবের তিনটি। তার একদিন পর বুধবার সেল্টিক পার্কে সেল্টিকের মুখোমুখি হয় বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাঠে অজেয় সেল্টিকের সামনে এদিন শুরু থেকেই সতর্কতার সঙ্গে খেলতে থাকে জার্মান জায়ান্টরা। তবে প্রমার্ধের ৪৫ মিনিটে মাইকেল ওলিসে গোল করে বায়ার্নকে প্রথম এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দারুণ ফর্মে থাকা হ্যারি কেন। সেইসঙ্গে গত মৌসুমের শুরু থেকে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের (৭৩) নজির গড়েন বায়ার্নের এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। ম্যাচের বয়স যখন ৭৯ মিনিট তখন এক গোল পরিশোধ করে দাইজেন মায়েদা স্বাগতিকদের কিছুটা আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারেনি সেল্টিক।
ফলে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে জয় নিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন উজ্জ্বল করল বায়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে ইউরোপ সেরার মঞ্চে টিকে থাকতে সেল্টিককে দ্বিতীয় লেগে জিততে হবে বায়ার্নের মাঠে। তবে ইতিহাস এখন কথা বলছে বায়ার্নের পক্ষে। কেননা, চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সর্বশেষ ১৩ নকআউট পর্বে দেখা যায় প্রথম লেগে এগিয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখই সবসময় পরের রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, ফেইনুর্ড তাদেরই মাঠে এসি মিলানকে পরাজিত করে ইগর পাইক্সাওর একমাত্র গোলে। ম্যাচের ৩ মিনিটে গোল হজম করার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইতালির অন্যতম সেরা ক্লাবটি। ১০ জনের মোনাকোর বিপক্ষে ম্যাচের ৪৮ মিনিটে বেনাফিকার একমাত্র গোলটি করেন ভ্যানগেলিস পাভলিদিস।