গত বছর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর পূর্বাচলে ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে এবং ডিজাইন হিসেবে ‘নৌকার’ প্রতিকৃতি নিয়ে এখানে স্টেডিয়ামে নির্মাণের বেশ কিছু প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়। পরামর্শক ফি হিসেবেই ৭৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আজ পূর্বাচল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ উদ্বো্ধন করা হয়েছে।
আজ দুপুরে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম এই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও জরুরি সভার কারণে যেতে পারেননি। জানা গেছে শুরুতে মাঠের কাজ সম্পন্ন করে খেলার উপযোগী করা হবে। নিজস্ব মাঠের সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার জন্য ‘পূর্বাচল ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ নামে অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মাণ কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পতিত সরকার প্রধানের নামে স্টেডিয়ামের নকশা প্রণয়ন ও পরামর্শক নিয়োগের জন্য অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পপুলাসকে দায়িত্ব দেয় বিসিবি। সেজন্য পরামর্শক ফি বাবদ প্রায় ৭৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। বিসিবির প্রশাসনে পরিবর্তন আসার পর তা বাতিল হওয়ায় ব্যয় করা অর্থেরও অপচয় হয়েছে।
এখন আবার পূর্বাচল স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথম ধাপে এক সারিতে ১০টি সেন্টার উইকেট তৈরি করা হবে। নিচু করে তৈরি হবে গ্যালারি। কারণ বিসিবির প্রথম লক্ষ্য দ্রুত একটি ম্যাচ আয়োজন করার মতো উপযোগী মাঠ তৈরি করা।
দ্রুত এই মাঠ তৈরি করে শুরুতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের ম্যাচগুলো আয়োজন করবে বিসিবি। পরবর্তীতে মাঠের উন্নয়ন করে এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে।
মামুন/সাজিদ