ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৩২, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বাংলাদেশ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সামনে রেখে বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ফাটোসেশন

আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাওয়ার আগে বুধবার শেষদিনের অনুশীলন সেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৮ বছর আগে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হয়েছে ইংল্যান্ডে। সেবার সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এবার তাই আগের চেয়ে ভালো কিছু করার লক্ষ্য। তাই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলবে এবার টাইগাররা।

এবার বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নেই। তাকে দল অনেক মিস করবে তা স্বীকার করে নিয়ে শান্ত দাবি করলেনÑ সাকিবকে নিয়ে আলোচনার  যৌক্তিকতা এখন নেই। সবেমাত্র বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলে সব ক্রিকেটার প্রস্তুতি সারলেও মাত্র ৫ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন অধিনায়ক শান্ত। এর পরও তার দাবি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আলাদাভাবে ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছেন তিনি।

আজ দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে দেশ ছাড়বে টাইগাররা। তার আগে বুধবার আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন করেছে পুরো দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। 
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য খুব বেশি অনুশীলনের সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ দল। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিপিএল টি২০ আসর শেষ হয়েছে। পরদিন থেকে আনুষ্ঠানিক অনুশীলন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স, সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, স্পিন পরামর্শক মুশতাক আহমেদের অধীনে শুরু হয়। বুধবার আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন করেছেন ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফরা এবং সঙ্গে ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক।

আজ রাতেই শুরু হবে অভিযান। দিবাগত মধ্যরাতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। দুবাই পৌঁছুবে পরদিন। সেখানে সোমবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে। ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, পরদিন ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। ২০১৭ সালের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ খেলেছে সেমিফাইনালে। তাই এবার আগের  চেয়ে ভালো কিছু করার আশা শান্তদের।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সর্বশেষ যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা খেলেছিলাম, ভালো একটা স্মৃতি ছিল। সেমিফাইনাল খেলেছিলাম, অবশ্যই এটা একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবে আমাদের। পাশাপাশি দেশের মানুষের প্রত্যাশা,পরিবারের প্রত্যাশা, খেলোয়াড়দের প্রত্যাশা তো আছেই। তাই সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিতে পেরেছি তাতে আলহামদুলিল্লাহ, বিশ্বাস করছি ভালো অবস্থানে যাওয়া সম্ভব।

‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি। এর পর পাকিস্তানে গিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে ২৪ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে। শক্তিশালী ৩ দলের বিপক্ষে ম্যাচ হলেও আগের তুলনায় ভালো করার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে শান্ত বলেছেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে যাচ্ছি। আমার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয় না।

৮ দলই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রাখে। ভালো দল। আমাদের দলের ওই সামর্থ্য আছে, আমি বিশ্বাস করি। বাড়তি চাপ কেউ অনুভব করবে না। প্রত্যেকে বিশ্বাস করি লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারব। 
এবার সাকিবের মতো বিশে^র অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার নেই দলে। তার ঘাটতি বেশ অনুভূত হবে বাংলাদেশ দলে। তার প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে শান্ত বলেছেন, হ্যাঁ, অবশ্যই মিস করব। আসলে এই প্রশ্নটা আমার মনে হয় কেন করলেন আপনি? আমরা সবাই জানি এই উত্তর অনেক খেলোয়াড় দিয়েছে। আমরা জানি সাকিব ভাইকে মিস করব। থাকলে ভালো হতো এই উত্তর অনেকবার পেয়েছেন।

তা আমার মনে হয় না যে একটা এতবড় টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে এই প্রসঙ্গে কথা বলাটা যৌক্তিক।  শান্ত অবশ্য সর্বশেষ বিপিএলে ৫ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ৪ ম্যাচে করেছেন ০, ৯, ৪, ২ এবং একটি ম্যাচে করেছেন ৪১ রান। তাই একাদশে জায়গা হয়নি। নিজের প্রস্তুতি নিয়ে শান্ত বলেছেন, আমার মনে হয় যে ম্যাচ খেলতে না পারার ভেতরেও কিছু পজিটিভ দিক ছিল।

অতিরিক্ত ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছি, কিভাবে আরেকটু প্রস্তুতি নিতে পারি। তো ওখানে কোচরা অনেক সহায়তা করেছে, পাশাপাশি আমার ফিটনেসটা নিয়েও আমি কাজ করতে পেরেছি। বিপিএলের ওই সময়টা আমি খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। যদিও কোচ সিমন্স দু’দিন আগে দাবি করেছেন, টি২০ ফরম্যাটের বিপিএল খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ওয়ানডে আসরের জন্য আদর্শ প্রস্তুতি হয়নি বাংলাদেশ দলের।

কিন্তু এ বিষয়ে শান্ত বলেছেন, আমার কাছে মনে হয় না কোচ এ রকম কোনো কিছু বুঝিয়েছে। সংস্করণের দিক থেকে একটু তো ভিন্নতা থাকেই। কিন্তু আমার মনে হয়, যেভাবে ব্যাটসম্যানরা খেলেছে, এই টুর্নামেন্টে উইকেটটা ভালো ছিল, আমরা যে কন্ডিশনে খেলব, আশা করছি, এর চেয়ে ভালো উইকেট থাকবে।

ব্যাটসম্যানরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। কিভাবে ৫০-৬০-৭০ থেকে ১০০-১৩০ করতে পারে, এটা গুরুত্বপূর্ণ। বোলাররাও এই উইকেটে ভালো বল করেছে। আমাদের হাতে এখনো ৬/৭ দিন আছে, এর মধ্যে আরও গুছিয়ে নিতে পারব।

×