ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

তিন প্রবাসী ফুটবলার আনিসা-জহুরা-সাইরাকে নিয়ে যা ভাবছে বাফুফে

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২০:০৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:২৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তিন প্রবাসী ফুটবলার আনিসা-জহুরা-সাইরাকে নিয়ে যা ভাবছে বাফুফে

অচিরেই আনিসা, জহুরা ও সাইরাকে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলে

বিশ্বের অনেক ফুটবল দেশই নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়াতে বাইরের দেশের দক্ষ ফুটবলারদের নাগরিকত্ব দিয়ে (ফিফার নানা শর্ত মেনে) তাদের জাতীয় দলে অন্তর্ভূক্ত করে। বাংলাদেশও চেষ্টা করছে এই পথে হাঁটার, তবে একটু ভিন্নভাবে। তারা চাইছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে নিতে। জাতীয় পুরুষ দলের পথে হাঁটছে জাতীয় নারী ফুটবল দলও।

 

এক্ষেত্রে প্রথম প্রবাসী ফুটবলার হলেন মাতসুশিমা সুমাইয়া। ২০২৩ সালে জাপানে জন্ম নেয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত এই ফরোয়ার্ডকে দলভুক্ত করা হয়। এ পর্যন্ত সুমাইয়া খেলেছেন ৭টি ম্যাচ। তিনিই নারী দলের প্রথম ফুটবলার,যিনি বাংলাদেশের কোন বয়সভিত্তিক দলে খেলেননি। 

সুমাইয়ার পর এবার একসঙ্গে তিন প্রবাসী ফুটবলারকে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক করাতে চাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইং। বিদ্রোহ করা ১৮ নারী ফুটবলারকে ছাড়াই নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন নারী দলের কোচ পিটার বাটলার। যাদের অনুশীলন করাচ্ছেন, এমন ৩৬ জনের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাফুফে। সবমিলিয়ে ৫৫ জনের সঙ্গে চুক্তি করবে বাফুফে। এদের নিয়ে বিকল্প পথে হাঁটতে চাইছেন বাটলার। 

সাবিনা-কৃষ্ণাদের শূন্যস্থান পূরণে প্রবাসী ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে বাফুফে। জুন-জুলাইয়ের মধ্যে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে ফেডারেশন।

এরইমধ্যে তিন নারী প্রবাসী ফুটবলারের দিকে চোখ রেখেছে বাফুফে। এদের একজন আনিকা সিদ্দিকী। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ট্রায়াল দিয়ে গেছেন তিনি। তিনি এরইমধ্যে সুইডেনের টপ টায়ার ক্লাবে খেলে ইউরোপের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে নিজেকে পরিচিত করেছেন। ২০২৩ সালে সুইডিশ কাপে বদলি হিসেবে মাঠেও নেমেছিলেন আনিকা। 

আরেকজন ফরোয়ার্ড জহুরা খাতুন। গত বছর ইংলিশ চতুর্থ টায়ার লিগে খেলেছেন। বর্তমানে তিনি কোন ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত নন। আরেকজন সাইরা মেদিনা আহমেদ ইংল্যান্ডের চতুর্থ টায়ার ক্লাবের অনুর্ধ-১৬ দলে খেলছেন। শায়লা ক্লাবটির একাডেমির প্লেয়ার অফ দ্য সিজন পুরস্কার পেয়েছেন। বড় বড় ক্লাবের স্কাউটরা তার ওপর নজর রাখছে এবং তিনি ইংল্যান্ড অনুর্ধ-১৫ দলের রাডারেও ছিলেন।

এই তিন প্রবাসী ফুটবলারের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলে নতুন গতি ও মাত্রা আনবে বলে মনে করছে বাফুফে। এই তিনজনই ফরোয়ার্ড। তাদের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের আক্রমণভাগের শক্তি বাড়াবে বলে মনে করছে বাফুফে।

রুমেল/আফরোজা

×