![বিশ্বকাপে চোখ রেখে জ্যোতিদের প্রস্তুতি বিশ্বকাপে চোখ রেখে জ্যোতিদের প্রস্তুতি](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/sp9-1-2502111840.jpg)
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়ে চলেছেন জ্যোতি-সুপ্তারা
আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে নারী ওয়ানডে বিশ^কাপ। অল্পের জন্য সেই আসরে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এই বিশ^কাপে খেলার জন্য এবার নিগার সুলতানা জ্যোতিদের খেলতে হবে বাছাই পর্ব। এবার পাকিস্তানের মাটিতে ৬ দল নিয়ে হবে এই বাছাই। সেখান থেকে দুটি দল বিশ^কাপ খেলার টিকেট পাবে।
আগামী ৪ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৯ এপ্রিল শেষ হবে এই বাছাই পর্ব। এখন থেকেই সেজন্য নিজেদের প্রস্তুত করার লক্ষ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন জ্যোতিরা। প্রধান কোচ হাসান তিলকারতেœ সরে দাঁড়ানোর পর সারোয়ার ইমরানকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার অধীনেই মঙ্গলবার অনুশীলন শুরু করেছেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা।
নারী ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে ৭ নম্বরে থেকে শেষ করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। গত মাসে এই চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দুুটি ম্যাচ জিততে পারলেই বাংলাদেশের মেয়েরা সরাসরি ওয়ানডে বিশ^কাপ খেলার সুযোগ পেতেন। কিন্তু একটি ম্যাচ জেতার কারণে তা সম্ভব করতে পারেননি জ্যোতিরা।
নিউজিল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল আর বাংলাদেশ নারী দলের পয়েন্ট সমান ২১ হলেও নেট রানরেটের কারণে জ্যোতিদের অবস্থান ছিল ৭ নম্বরে। আয়োজন ভারতসহ শীর্ষ ৬টি দল সরাসরি বিশ^কাপ খেলার সুযোগ পেয়েছে। আর তাই এখন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে খেলতে হবে বাছাই পর্ব। সেখানে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কারণ স্বাগতিক পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল ছাড়াও থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ড।
রবিন লিগ পদ্ধতিতে ৪ এপ্রিল পাকিস্তানে শুরু হবে এই বিশ^কাপ বাছাইয়ের প্রতিযোগিতা। তাই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে খেলতে হবে বাকি ৫ দলের বিপক্ষেই। এই প্রতিযোগিতা শেষে শীর্ষ দুটি দল বিশ^কাপ খেলার টিকেট পাবে। আর সে কারণেই এবার অনুশীলন শুরু করেছেন নারী ক্রিকেটাররা। তাছাড়া প্রিমিয়ার লিগ প্রতিযোগিতাও রয়েছে মেয়েদের।
মঙ্গলবার মেয়েদের অনুশীলন শুরু করেছেন কোচ সারোয়ার ইমরান। জ্যোতিদের সরাসরি বিশ^কাপে খেলার টিকিট এনে দিতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন হাসান তিলকারতেœ। তার জায়গায় এসেছেন সারোয়ার। তিনি বাংলাদেশের নারী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ হিসেবে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। সারোয়ারকে নারী জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ ক্রিকেটভিত্তিক এক জনপ্রিয় ওয়েবসাইটকে নিশ্চিত করেছেন।
সেখানে তিনি বলেছেন,‘তিলকারতেœ (হাশান) চলে যাওয়ার প্রেক্ষিতে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে আমরা ইমরানকে (সারোয়ার) নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দেশের স্বনামধন্য কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে নিয়োগ করেছে বিসিবি। স্থানীয় কোচদের নিয়োগ বিষয়ে ফারুক বলেছেন,‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে স্থানীয়দের জায়গা করে দেওয়ার ব্যাপারে কথা দিয়েছিলাম।
নারী দলের প্রধান কোচ হিসেবে সারোয়ার ইমরানের নিয়োগ সেটিরই অংশ।’ ১৯৮৪ সাল থেকে ক্রিকেট কোচিংয়ে আসেন সারোয়ার। ২০০০ সালে তার অধীনেই নিজেদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশের পুরুষ জাতীয় দল। ২০০৩ সালে মহসিন কামালের চাকরিচ্যুতির পর অন্তর্বর্তী প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে সহকারী কিংবা প্রধান কোচ হিসেবেও পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি২০ বিশ্বকাপেও মেয়েদের প্রধান কোচ ছিলেন সারোয়ার।