![ক্যাম্পে সাবিনাদের অত্যাচারের শিকার জুনিয়র ফুটবলাররা! ক্যাম্পে সাবিনাদের অত্যাচারের শিকার জুনিয়র ফুটবলাররা!](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/10-14-2502111425.jpg)
সাবিনার (বায়ে) নেতৃত্বে ক্যাম্পের জুনিয়র ফুটবলারদের মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবলের ক্যাম্পে সিনিয়রদের রোষানলে পড়েছে জুনিয়র ফুটবলাররা। ১৮ সিনিয়র ফুটবলারের বিদ্রোহ-আন্দোলনের সঙ্গে শামিল না হওয়ায় বা তাদেরকে সমর্থন না করায় মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। এমনটাই দাবি করেছেন নির্যাতিত ফুটবলারদের অনেক অভিভাবক। ক্যাম্পে থাকা তাদের মেয়েদের ভবিষ্যত নিয়ে মহা উদ্বেগে আছেন তারা। দেশের ফুটবলের স্বার্থে সৃষ্ট সঙ্কটের সুষ্ঠ সমাধান চান তারা।
বাফুফে ভবনে কান পাতলেই শোনা যায় জুনিয়রদের প্রতি সিনিয়রদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর মানসিক নির্যাতনের খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুনিয়র ফুটবলারের অভিভাবক জানিয়েছেন, সিনিয়রদের এই বিদ্রোহের পেছনে কলকাঠি নাড়া কিংবা ইন্ধন জোগানো হচ্ছে অধিনায়ক সাবিনার মাধ্যমে। দেশের নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রার শুরু থেকেই দলের সঙ্গে আছেন সাতক্ষীরার মেয়ে সাবিনা। নারী ফুটবলের ঈর্ষণীয় সাফল্যে তার অবদান অনস্বীকার্য।
তবে তার আগ্রাসী আচরণও বাফুফে ভবনের সবার কমবেসি জানা। বিদ্রোহে যোগ দেয়াতে রীতিমতো ‘বেঈমান’, ‘স্বার্থপর’ বলেও ক্ষোভ ঝাড়েন সাবিনা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্নতা প্রকাশ না করায় জুনিয়রদের মুখ দেখাও নাকি বন্ধ করে দিয়েছেন সাবিনা! সিনিয়রদের সিন্ডিকেটে যোগ দিলেও বিপদ, আবার না দিলে বিপদ, থাকছে সাবিনা বা বাফুফের রোষানলে পড়ার ঝামেলা।
শেষমেষ বাফুফের সঙ্গে থেকেছে জুনিয়ররা। সাবিনাদের অতিরিক্ত মোবাইল আসক্ততা, টিকটিক প্রীতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যস্ততা এসব প্রভাবিত করছে জুনিয়রদের। এতে করে ক্ষতির হুমকিতে আছে দেশের আগামী দিনের নারী ফুটবলাররা। এসব চলমান অস্থিরতার দ্রুত সমাধান চান অভিভাবকরাা। নয়তো এই সম্ভাবনাময় খেলাটির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে পরবর্তী প্রজন্মের ফুটবলাররা।
রুমেল খান/সাজিদ