ব্রিটজকের বিশ্বরেকর্ড ছাপিয়ে নায়ক উইলিয়ামসন

পাকিস্তানে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যে রানের খেলা জমে উঠবে, এই দুটি ম্যাচেই সেটি পরিষ্কার। আর কিউইরাও জানিয়ে দিল তারা প্রস্তুত। লাহোরে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩০ রান তুলে স্বাগতিক পাকিস্তানকে তারা হারিয়েছিল ৭৮ রানে। এবার ৩০৪ রান টপকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটের দাপুটে জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে গেল মিচেল স্যান্টানারের দল। তাতে ভেস্তে গেল ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের বিশ্বরেকর্ড গড়া প্রোটিয়া ওপেনার ম্যাথু ব্রিটজকের (১৪৮ বলে ১৫০) কীর্তি।

দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে নায়ক বনে গেলেন কেন উইলিয়ামসন (১১৩ বলে অপরাজিত ১৩৩)। সোমবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৩০৪ রান করে টেম্বা বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৪৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট (৩০৮/৪) হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।
২০১৯ বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি। এর পর ওয়ানডেতে আর সেঞ্চুরি পাচ্ছিলেন না কেন উইলিয়ামসন। সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি সময়ের খরা কাটিয়ে ভুলতে বসা সেই স্বাদ পেলেন অভিজ্ঞ এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অল্পের জন্য সেই স্বাদ পেলেন না ডেভন কনওয়ে। এই দুজনের রেকর্ড জুটিতে রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জিতল নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি।

২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অকল্যান্ডে ২৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় ছিল আগের সর্বোচ্চ। নিউজিল্যান্ডের নায়ক উইলিয়ামসন ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১১৩ বলে অপরাজিত ১৩৩ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন। তার ইনিংসটি গড়া ১৩ চার ও ২ ছক্কায়। চার মেরে ম্যাচের ইতি টেনে দেওয়ার পাশাপাশি ওয়ানডেতে দ্বিতীয় দ্রুততম ৭ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি। এজন্য তার লাগল ১৫৯ ইনিংস।

১৫০ ইনিংসে রেকর্ডটি হাশিম আমলার। ৯ চার ও এক ছক্কায় ১০৭ বলে ৯৭ রান করেন কনওয়ে। উইলিয়ামসন ও কনওয়ের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১৮৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ জুটি এটি। ২০১৭ সালে হ্যামিল্টনে তৃতীয় উইকেটে মার্টিন গাপটিল ও রস টেইলরের ১৮০ রানের জুটি ছিল আগের সেরা। 
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসটি ছিল কেবলই ব্রিটজকময়। ১৪৮ বলে ১৫০ রানের ইনিংসটি প্রোটিয়া ওপেনার সাজিয়েছেন ৫ ছক্কা ও ১১ চার দিয়ে। ৬৮ বলে ফিফটিতে পা রাখার পর কাক্সিক্ষত তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পান ১২৮ বলে। ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটি এতদিন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেসমন্ড হেইন্সের। ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৮। এবার তাকে পেছনে ফেলে রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন ২৬ বছর বয়সী ব্রিটজক।