![ক্ষোভেই কি সাবিনাদের দেরিতে অভিনন্দন জানালো বাফুফে? ক্ষোভেই কি সাবিনাদের দেরিতে অভিনন্দন জানালো বাফুফে?](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/6-17-2502081517.jpg)
একুশে পদক পাওয়ার খবরের ৪৮ ঘণ্টা পর নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বিতর্কের মুখে বাফুফে
কোচ-সিনিয়র খেলোয়ারদের দ্বন্দ্বে অস্থির দেশের নারী ফুটবল। এরই মাঝে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে। সেদিনই নারী দলকে বসুন্ধরা কিংস অভিনন্দন জানালেও নিশ্চুপ ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অবশেষে দুই দিন পর অবশেষে ঘুম ভেঙ্গেছে তাদের! জানিয়েছে নারী ফুটবল দলকে জানিয়েছে অভিনন্দন।
শনিবার (৮ ফেব্রয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বাফুফে লিখেছে, ‘দেশের ফুটবলে অসামান্য অবদান ও নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রায় অনন্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পুরো জাতির জন্য গর্বের। এই অর্জন শুধু জাতীয় নারী ফুটবল দলকে নয়, বরং এটি দেশের সকল নারীকে জাগ্রত করবে, অনুপ্রাণিত করবে এবং নারীদের খেলাধুলায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিত করবে।’
ফুটবলপ্রেমীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, সাবিনাদের ওপর রাগের কারণেই তাদের এত দেরিতে অভিনন্দন জানিয়েছে বাফুফে। এর পেছনে অবশ্য য়ৌক্তিক কারণও আছে।
বাফুফে প্রতিনিয়ত সাবিনাদের বুঝিয়ে যাচ্ছে বা অনুরোধ করছে বিদ্রোহ থেকে সরে সারতে, কিন্তু সাবিনারা তাতে মোটেও কর্ণপাত না করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় বাফুফে ক্ষেপেছে।
গত বছরও সাবিনারা বিদ্রোহ করেছিলেন। অনুশীলন বর্জন করেছিলেন। বাফুফেকে না জানিয়ে ছয় ফুটবলার খেপ খেলেছিলেন।তখন নাকি এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েই অর্থের অপ্রতুলতার অজুহাত দেখিয়ে সাবিনাদের মিয়ানামার অলিম্পিকের বাছাইপর্ব খেলতে পাঠাননি!
প্রায় এক যুগ ধরে সাবিনারা আছেন বাফুৃফের ক্যাম্পে। শুরুতে তাদের ভালভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও এখন তাদের বয়স বেড়েছে, স্বাধীনচেতা ভাব এসেছে আচার-আচরণে পরিবর্তন এসেছে। অতিরিক্ত টিকটক করাকে থামাতে পারেনি বাফুফে।
হয়তো এসবকিছু মিলিয়েই সাবিনাদের একুশে পদক পাওয়াকে অভিনন্দিত করতে ইচ্ছে করেই দেরি করেছে বাফুফে, এমনটাই মনে করছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
রুমেল খান/সাজিদ