প্রান্ত-সীমান্ত (বায়ে) এবং টিংকু-আঁখি দম্পত্তি।
যেখানেই সীমান্ত, সেখানেই আছে প্রান্ত। না, বর্ডার অঞ্চল নিয়ে বলা হচ্ছে না। দুজন মানব-মানবীর কথা। ভারোত্তোলনের মঞ্চে চোখাচোখি। তারপর ধীরে ধীরে পরিচয়, প্রেম এবং সবশেষে পরিণয়। দীর্ঘদিন ভালোবাসার পর এবার বিয়ে করেছেন এসএ গেমসে সোনাজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। বর সাখাওয়াত হোসেন প্রান্তও ভারোত্তোলক।
মাবিয়া যেমন বাংলাদেশ আনসারের ভারোত্তোলক, প্রান্তও তেমনি একই সংস্থার খেলোয়াড়।
শুরুতে ভালো লাগা। পারিবারিকভাবেই এই বিয়েটা হয়েছে। মাবিয়ার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার উজ্জ্বল হলেও প্রান্তর তেমন সাফল্য নেই। শুধু ঘরোয়া ভারোত্তোলনে সোনা জিতেছেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ গুয়াহাটি এসএ গেমসের পর পোখারাতে ২০১৯ সালের গেমসে সোনা জেতেন মাবিয়া। অবশ্য মাবিয়া পোখারাতে সোনা জিতলেও সেবার পুরুষদের ৮৯ কেজি ওজন শ্রেণীতে রুপা জিতেছিলেন প্রান্ত।
এছাড়া, একইদিনে সিরাজগঞ্জে বিয়ে করেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন-ও। ২০২৩ সালে অভিমানে বাফুফের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাওয়া সিরাজগঞ্জের মেয়ে নতুন জীবন শুরু করেছেন। বর তারই একজন ভক্ত। নাম শরিফুল ইসলাম টিংকু। টিংকুও আঁখির মতো বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী। তবে ওই সময় তাদের পরিচয় ছিল না। ছেলেদের ‘কায়সার হামিদ’ খেতাব পাওয়া আঁখির খেলা দেখে ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন টিংকু। কাজ করছেন চীনে একটি একাডেমির টেনিসের কোচ হিসেবে।
রুমেল খান/ তাবিব