ছবিঃ পারিশ্রমিক জটিলতায় রাজশাহীর ক্রিকেটাররা দুইবার অনুশীলন ও ম্যাচ বয়কট করেন
আজ প্রথম প্রহরেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল দুর্বার রাজশাহীর বিতর্কিত মালিক শফিকুর রহমানকে।
ক্রিকেটার ও কোচদের পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিয়েও রক্ষা না করার জন্য এই পদক্ষেপ নেয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করে ২৫ শতাংশ হারে তিন কিস্তিতে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল পাওনা পরিশোধের অঙ্গীকার করেছেন শফিকুর রহমান।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুর রহমান জানিয়েছেন আজ প্রথম কিস্তি, ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় এবং ১০ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় কিস্তিতে দলের সমস্ত পাওনা পরিশোধ করবেন তিনি। প্রতি কিস্তিতে খেলোয়াড় ছাড়াও দল সংশ্লিষ্ট সকলেই অর্থ বুঝে পাবেন বলেও নিশ্চয়তা দেন শফিক। অন্যথায়, তার বিরুদ্ধে যে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে মর্মে জানিয়েছেন তিনি।
বিপিএলে নানা অনিয়মের আদ্যোপান্ত অনুসন্ধানে কাজ করছে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।
বিপিএল ২০২৫ ঘিরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে আন্তরিক প্রয়াস দেখানো হয়েছে। কিন্তু টুর্নামেন্টের ফ্রাঞ্চাইজি দুর্বার রাজশাহী তার দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে একের পর এক চুক্তি লঙ্ঘন করে টুর্নামেন্ট তথা রাষ্ট্রের সম্মান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তাদের এমন অপেশাদার কর্মকান্ড গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে প্রচার হলে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ফ্রাঞ্চাইজি মালিকের সঙ্গে আলোচনায় বসেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দলের ৫০ শতাংশ পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। নানা অনিয়মের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করার গুঞ্জনও ওঠে।
সঙ্কট নিরসন ও দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে বেশ গুরুত্ব সহকারে এ বিষয়ে তদন্ত করে মন্ত্রণালয়। আর ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের পালিয়ে যাবার গুঞ্জন উঠলে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় সরকার।
মামুন/জাফরান
