ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

প্রোটিয়াদের কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রোটিয়াদের কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

ট্রফি নিয়ে ভারতের মেয়েদের ব্যতিক্রমী উদ্যাপন, রবিবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে

দুই বছরে চারটি টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে হার- এটা কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষেই সম্ভব! ক্রিকেটের বৈষয়িক আসরের নক আউটে প্রোটিয়ারা কেন ‘চির চোকার’, আরও একবার সেটি প্রমাণ করল দেশটির মেয়েরা। ২০২৩ ও ২০২৪ নারী টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছর পুরুষদের টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর এবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারল প্রোটিয়ারা।

টানা দ্বিতীয় ট্রফি জয়ের পথে বিরাট কোহলির দেশের কিশোরীরা প্রতিপক্ষকে ¯্রফে উড়িয়ে দিল। নিকি প্রাসাদ, গঙ্গাদি তৃষাদের জয় ৯ উইকেটে। রবিবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে ২০ ওভারে ৮২ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১১.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে উদ্যাপনে মাতে ভারত।
২০২৩ প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলই অপরাজিত থেকে শিরোপার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু ফয়সালার মঞ্চে এসে খেই হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরু থেকে চেপে ধরে ভারত। ৩ উইকেটে ২৯ রানে পাওয়ার প্লে শেষ করে প্রোটিয়া মেয়েরা। প্রতিরোধের চেষ্টা করেন অধিনায়ক কায়লা রেইনেকে (২১ বলে ৭) ও কারাবো মেসো (২৬ বলে ১০)।

কিন্তু পরপর দুই ওভারে বিদায় নেন দুজনই। ইনিংসে দলটির সর্বোচ্চ ৩০ রানের জুটি গড়েন মিকাহ ফন ভুর্স্ট ও ফে কাওলিং। যেখানে ৩ চারে ১৮ বলে সর্বোচ ২৩ রান করেন ফন ভুর্স্ট। ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সফলতম বোলার গঙ্গাদি তৃষা। ৬ রানে পারুনিকা সিসোদিয়া ও ৯ রানে আয়ুশি শুক্লা ধরেন দুটি করে শিকার। ভাইশ্নাবি শার্মাও দুই উইকেট পান।

চমৎকার বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও আলো ছড়ান তৃষা।  দলের জয় সঙ্গে নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। ৮ চারে ৩৩ বলে খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস। হন ম্যাচসেরা। আরেক ওপেনার কমলিনি অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৮ রান করে বিদায় নেন তিনি।
তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৬ রান। তৃষ্ণার সঙ্গে ৪৮ রানের অবিছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়ে ফেরেন সানিকা চাল্কে। ৪টি চারে ২২ বলে ২৬ রান করেন সানিকা। ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হয়ে বাকরুদ্ধ তৃষা জয় উৎসর্গ করেন বাবাকে। গোটা প্রতিযোগিতায় দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেন গঙ্গাদি।

তিনি ৩০৯ রান করেছেন এই টুর্নামেন্টে, যা সর্বোচ্চ। পাশাপাশি লেগস্পিনে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ফাইনালে সেরার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়ড়ের পুরস্কারও জিতেছেন তেলেঙ্গানা রাজ্য থেকে উঠে আসা ১৯ বছর বয়সী প্রতিভাবান এ নারী ক্রিকেটার।

×