ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মানেই যেনো নতুন নাটকের জন্ম। চলতি বিপিএলে দুর্বার রাজশাহী দলের পারিশ্রমিক সমস্যা ও বিতর্কের খবরে সরগরম ছিল পুরো টুর্নামেন্ট। তবে এবার তারা পুরোনো সব বিতর্কের রেকর্ড ভেঙে নতুন এক অধ্যায় তৈরি করেছে। পারিশ্রমিকের জন্য দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা অনুশীলন বয়কট করেছেন, বিদেশি ক্রিকেটাররা ম্যাচ বয়কট করেছেন এবং তাদের দেওয়া চেকও দুবার বাউন্স হয়েছে।
বিপিএলের প্রথম থেকেই আর্থিক সংকটে ভুগছে রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। এমনকি দলটির বিদেশি খেলোয়াড়দের বকেয়া পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিরসনে বিসিবি ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। তবে তাতে সমস্যা সমাধান হলেও বিতর্ক যেনো পিছু ছাড়ছে না।
গতকাল (১ ফেব্রুয়ারি) খুলনা টাইগার্সের কাছে ঢাকা ক্যাপিটালস হেরে রাজশাহীর প্লে অফে ওঠার আশা শেষ হয়ে গেছে। এরপরই আবার নতুন এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহীর বিদেশি খেলোয়াড়রা এখনও ঢাকায় টিম হোটেলে আটকা পড়ে আছেন, কারণ তাদের বকেয়া পারিশ্রমিক এখনও পরিশোধ করা হয়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকপক্ষ এবং টিম ম্যানেজমেন্টও তাদের ফোনে সাড়া দিচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস, আফগানিস্তানের আফতাব আলম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্ক ডেয়াল, জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিগুয়েল কামিন্সের পারিশ্রমিকের একটি অংশ এখনও পেন্ডিং রয়েছে। বেশিরভাগ খেলোয়াড় চুক্তির ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক পেলেও কেউ কেউ এখনও এক পয়সাও পাননি। শেষ ১১ দিন ধরে তারা তাদের প্রাত্যহিক ভাতাও পাচ্ছেন না।
রাজশাহীর আর্থিক সমস্যা শুরু থেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না খেলোয়াড়রা। চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগেই রাজশাহীর দেশীয় খেলোয়াড়রা অনুশীলন বয়কট করেছিলেন। তবে বিসিবির হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হলেও পরবর্তীতে বকেয়া পারিশ্রমিক না পাওয়ায় বিদেশি খেলোয়াড়রা ম্যাচ বয়কট করেন। এরপর বিসিবির বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিদেশি ছাড়াই ম্যাচ খেলতে নামে রাজশাহী।
এ অবস্থায়, রাজশাহীর বিতর্ক যেনো থামছে না। তাদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বিপিএলের শিরোনামে আরও নতুন নাটক হতে পারে।
তৌহিদ