রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল দল ছবি : উয়েফা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সেরা সাফল্যের দল স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের রক্তের সঙ্গেই মিশে আছে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করা। যে কারণে গ্যালাক্টিকোরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিটি আসরেই থাকে হট ফেভারিট। কিন্তু এবার নতুন ফরম্যাটে কি করবে সেটা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে!
সরাসরি শেষ ষোলোর টিকেট না পাওয়া রিয়ালকে খেলতে হবে প্লেঅফ। সেখান থেকে তাদের নকআউটে আসা খুব একটা সমস্যা হবেনা। কিন্তু বিপত্তি আছে সামনের পথচলায়। যেখানে তাদের সামনে অপেক্ষা করতে বাঘা বাঘা প্রতিপক্ষ। আর সেটা নিয়ে নাকি লস ব্লাঙ্কোসরা আছে মহাভাবনায়!
প্রথেমেই রিয়াল মাদ্রিদ জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে। এই বাধা টপকাতে পারলে পরের রাউন্ডে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি। রিয়াল মাদ্রিদ যদি সিটি বাধাও অতিক্রম করতে পারে, তবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপাও তাদের ঘরে শোভা পাবে বলে মনে করেন বোদ্ধারা।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লীগ একেবারেই ভিন্ন ধাচের। খুব পছন্দ হয়েছ এবারের সিস্টেম। অনেক বেশী খেলা খেলতে হচ্ছে এবং শুরু থেকেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাও লক্ষ্য করা গেছে।নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৯ থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো নকআউট প্লে-অফ খেলবে। প্রতিটি দলকে তাদের টেবিল পজিশন অনুযায়ী জোড়া বানানো হবে এবং তারা আলাদা ব্র্যাকেটে থাকবে, যাতে ফাইনালের আগে একে অপরের মুখোমুখি না হতে পারে। এই ড্রয়ের পদ্ধতিটা আপাতদৃষ্টিতে খানিক কঠিন মনে হতেই পারে।
রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ আর ম্যানচেস্টার সিটি থেকেই বোঝানো যাক। প্রথম দিকে দলগুলোকে জোড়া করা হবে তাদের লিগ টেবিলে অবস্থানের ভিত্তিতে। যেমন ৯ম ও ১০ম স্থানে থাকা দুই দল একই জোড়ায় থাকবে। আবার ১১ ও ১২তম স্থানের দল থাকবে আরেকজোড়ায়। লিগ টেবিলের অবস্থান ভিত্তিতে বায়ার্ন মিউনিখ এবং রিয়াল মাদ্রিদ থাকবে একই ব্র্যাকেটে।
প্রতিটি জোড়ার ড্র হবে ১৭ থেকে ২৪তম স্থান দখল নেয়া জোড়ার বিপক্ষে। ৯ম-১০ম ব্র্যাকেটের ড্র হবে ২৩ ও ২৪তম দলের জোড়ার বিপক্ষে। এই হিসেবে ১১ ও ১২তম স্থানের ব্র্যাকেটের বায়ার্ন-রিয়াল জোড়ার ড্র হবে ২১ ও ২২তম দল সেল্টিক ও ম্যানসিটির বিপক্ষে।
যেহেতু, একই ব্র্যাকেটের দল নিজেদের বিপক্ষে খেলবে না, তাই সিটির প্রতিপক্ষ হতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ বা বায়ার্ন মিউনিখ। আবার রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ হতে পারে ম্যানসিটি বা সেল্টিক। বায়ার্ন মিউনিখের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
জয়/তাবিব
