ছবি:সংগৃহীত
আজকের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের জন্য প্লে অফে টিকে থাকার জন্য জয় ছিল অত্যন্ত জরুরি এবং সেই লক্ষ্যে তারা অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। বিশেষ করে, ওপেনার নাইম শেখ ব্যাট হাতে দুর্দান্ত তাণ্ডব চালিয়ে দলের জন্য একটি বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছেন। নাইম শেখ তার সেঞ্চুরির মাধ্যমে খুলনা টাইগার্সের ইনিংসকে ত্বরান্বিত করেন এবং রানের পাহাড় গড়ে তোলেন। ৪৬ রানের জয়ে প্লে অফের সমীকরণ জমিয়ে তুললো খুলনা। ১১ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। নিজেদের শেষ ম্যাচ জিততে পারলেই সেরা চারে জায়গা করে নেবে তারা। আর হারলে বিদায় নিতে হবে। খুলনা পরের ম্যাচ জিতলে কপাল পুড়তে পারে রাজশাহী বা চিটাগাংয়ের।
নাইম শেখের সেঞ্চুরির সৌজন্যে টাইগার্সরা একটি বড় রান সংগ্রহ করে, যা রংপুর রাইডার্সের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। রান-পাহাড়ে চাপ পড়ায় রংপুর রাইডার্স দলের বোলাররা সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে ব্যর্থ হন এবং খুলনার ব্যাটসম্যানদের রানের পথ আটকাতে পারেননি। টাইগার্সের গড়া বিশাল সংগ্রহের সামনে রংপুর রাইডার্সের জন্য ম্যাচ জয় করা কঠিন হয়ে পড়ে।
অবশ্য চিটাগাং সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তাদের দুই ম্যাচ এখনো বাকি। দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেও হিসেব ছাড়াই সেরা চার নিশ্চিত হবে তাদের। এমনকি দুই ম্যাচের দুটিতেই হারলেও প্লে অফের সম্ভাবনা থাকবে তাদের। অন্যদিকে রাজশাহীর কোনো ম্যাচ বাকি না থাকায় অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার নেই তাদের।
আজ মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ বলে অপরাজিত ১১১ রান করেছেন নাইম। জবাবে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর।
এই জয়ে খুলনা টাইগার্স প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকার জন্য নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে নাইম শেখের অবদান অগ্রণী ছিল, যিনি দলের জন্য ম্যাচ নির্ধারণী ভূমিকা পালন করেন। রংপুর রাইডার্সের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যাচে ফিরে আসা এবং নিজেদের পারফরম্যান্স উন্নত করা।
faruk