ছবি : সংগৃহীত
লিওনেল মেসি এবং ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক ডেভিড বেকহামের বিরুদ্ধে পেরুর কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। বর্তমানে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় প্রাক-মৌসুম সফরে থাকা ইন্টার মায়ামি সম্প্রতি পেরুর শীর্ষস্থানীয় ক্লাব ইউনিভার্সিটারিওর বিপক্ষে লিমার মনুমেন্টাল ইউ ম্যারাথন স্টেডিয়ামে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জয় পায় মায়ামি।
তবে মেসির পেরু সফর বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে, কারণ ম্যাচের আগে আয়োজিত ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ ইভেন্টে তিনি অংশ নেননি। জানা গেছে, পেরুর ভক্তরা ৩,০০০ সোলেস (প্রায় ৬৯,৬৭৫ টাকা) খরচ করে ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী তারকার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ কিনেছিলেন। কিন্তু বিনা নোটিশে মেসি ইভেন্টে উপস্থিত হননি।
মেসি ও বেকহামের বিরুদ্ধে তদন্ত
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, পেরুর জাতীয় ভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ ‘ইনডেকোপি’ তদন্ত শুরু করেছে। সংস্থাটি এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইন্টার মায়ামি এবং ইউনিভার্সিটারিও দে দেপোর্তেসের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচের আগে অনুষ্ঠিত ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ ইভেন্টে ফুটবলার লিওনেল মেসির অনুপস্থিতি নিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে ইনডেকোপি তদন্ত শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমরা খতিয়ে দেখব, ইভেন্টের আয়োজকরা কি কোনো ভোক্তা অধিকার বা বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘন করেছে কিনা।”
যদিও এই ইভেন্টে মেসি ছিলেন না, তবে তিনি ম্যাচের শুরুর একাদশে ছিলেন।
এর আগেও একই ধরনের বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন মেসি। গত বছর হংকংয়ে ইন্টার মায়ামির প্রাক-মৌসুম ম্যাচে এক মিনিটও মাঠে নামেননি তিনি। ওই ম্যাচ দেখতে ৩৮,৩২৩ দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিলেন, যারা ১,০০০ হংকং ডলার (প্রায় ১১,১১৪ টাকা) পর্যন্ত ব্যয় করেছিলেন। ম্যাচ শেষে দর্শকরা রিফান্ডের দাবি জানান এবং বেকহামকে বিদ্রুপ করে হাতের ইশারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
মায়ামিতে মেসির ভবিষ্যৎ কী?
এদিকে, মেসির ইন্টার মায়ামির সঙ্গে বর্তমান চুক্তি এই বছর শেষ হচ্ছে, তবে এতে ১২ মাসের জন্য চুক্তি বাড়ানোর একটি অপশন রয়েছে। ক্লাবের সহ-মালিক জর্জ মাস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমি এবং লিও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করব।
আমি সম্পূর্ণ প্রত্যাশা করছি, ২০২৬ সালে আমাদের নতুন স্টেডিয়াম উদ্বোধনের সময় লিও মেসি আমাদের ‘নম্বর ১০’ হয়ে থাকবেন।”
মো. মহিউদ্দিন